3. কোন রকম ব্যভিচার, অশুচিতা আর লোভের কথা পর্যন্ত যেন তোমাদের মধ্যে শোনা না যায়, কারণ এই সব কথা ঈশ্বরের লোকদের মানায় না।
4. কোন রকম লজ্জাপূর্ণ আচার-ব্যবহার এবং বাজে ও নোংরা ঠাট্টা- তামাশার কথাবার্তা যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, কারণ এগুলোও মানায় না। তার চেয়ে বরং তোমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও।
5. তোমরা নিশ্চয়ই জান, যারা ব্যভিচার করে, যারা অশুচি এবং যারা লোভী, অর্থাৎ যাদের এক রকমের প্রতিমাপূজাকারী বলা যায় খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে তাদের কোন অধিকার নেই।
6. অসত্য কথাবার্তার দ্বারা যেন কেউ তোমাদের ভুল পথে নিয়ে না যায়, কারণ যারা অবাধ্য হয়ে ঐ সব কাজ করে ঈশ্বরের শাস্তি তাদের উপরে নেমে আসে।
7. এই রকম লোকদের সংগে যোগ দিয়ো না,
8. কারণ তোমরা আগে অন্ধকারে থাকলেও এখন প্রভুর সংগে যুক্ত হয়ে আলোতে এসেছ। আলোতে পুর্ণ লোকের যেভাবে চলা উচিত তোমরা সেইভাবে চল,
9. কারণ যা ভাল, নির্দোষ ও সত্য তা-ই হল আলোর ফল।
26-27. খ্রীষ্টের উদ্দেশ্য হল যেন তিনি মণ্ডলীকে পবিত্র করবার জন্য তাঁর বাক্যের মধ্য দিয়ে জলে ধুয়ে মহিমাপূর্ণ অবস্থায় নিজের সামনে উপস্থিত করতে পারেন। সেই সময় মণ্ডলীর মধ্যে কোন কলংকের দাগ, খুঁত বা ঐরকম কোন কিছু থাকবে না, বরং তা পবিত্র ও নিখূঁত হবে।
28. স্বামী যেমন নিজের দেহকে ভালবাসে ঠিক সেইভাবে নিজের স্ত্রীকেও তার ভালবাসা উচিত। যে নিজের স্ত্রীকে ভালবাসে সে নিজেকেই ভালবাসে।
29. কেউ তো কখনও নিজের দেহকে ঘৃণা করে না, বরং সে তার দেহের ভরণ-পোষণ ও যত্ন করে। ঠিক সেইভাবে খ্রীষ্টও তাঁর মণ্ডলীর যত্ন করেন,
30. কারণ আমরা তাঁর দেহের অংশ।
31. পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “এইজন্যই মানুষ মা-বাবাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সংগে এক হয়ে থাকবে আর তারা দু’জন একদেহ হবে।”
32. এটা একটা মহান গুপ্ত সত্য-কিন্তু আসলে আমি খ্রীষ্ট এবং তাঁর মণ্ডলীর কথা বলছি।
33. কিন্তু যাক সেই সব কথা। তোমরা প্রত্যেকে নিজের স্ত্রীকে নিজের মত ভালবেসো, আর স্ত্রীরও উচিত যেন সে নিজের স্বামীকে সম্মান করে।