11. জন্মের দিক থেকে তোমরা তো অযিহূদী। হাত দিয়ে দেহের মধ্যে যাদের সুন্নত করানো হয়েছে, অর্থাৎ যারা নিজেদের সুন্নত-করানো লোক বলে থাকে তারা তোমাদের সুন্নত-না-করানো লোক বলে।
12. মনে রেখো, আগে তোমরা খ্রীষ্টের কাছ থেকে আলাদা ছিলে; জাতি হিসাবে ইস্রায়েলীয়দের যে অধিকার তোমরা সেই অধিকারের বাইরে ছিলে; ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতির জন্য যে কয়টি প্রতিজ্ঞাযুক্ত ব্যবস্থা করেছিলেন তার সংগে তোমাদের কোন সম্বন্ধ ছিল না; তোমাদের কোন আশা ছিল না; আর এই জগতে তোমরা ঈশ্বর ছাড়াই ছিলে।
13. তোমরা এক কালে দূরে ছিলে, কিন্তু খ্রীষ্ট যীশুর সংগে যুক্ত হয়েছ বলে তোমাদের এখন তাঁর রক্তের দ্বারা কাছে আনা হয়েছে।
14-15. তিনিই আমাদের শান্তি। যিহূদী ও অযিহূদী, এই দুইকে তিনিই এক করেছেন। তিনি তাঁর ক্রুশে দেওয়া দেহের মধ্য দিয়ে সমস্ত আদেশ ও নিয়ম সুদ্ধ মোশির আইন-কানুনের শক্তিকে বাতিল করেছেন। এইভাবেই যে শত্রুতার ভাব এই দু’য়ের মধ্যে দেওয়ালের মত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তা তিনি ভেংগে ফেলেছেন। তিনি এটা করেছিলেন যেন এই দু’টিকে দিয়ে তিনি নিজেই একটি নতুন মানুষ সৃষ্টি করতে পারেন, আর এইভাবেই যেন সেই দু’য়ের মধ্যে শান্তি হয়।
16. এটাও তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই দু’টিকে তিনি এক দেহে ঈশ্বরের সংগে আবার মিলিত করেন, কারণ এই দু’য়ের মধ্যে যে শত্রুতার ভাব ছিল তা তিনি তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা ধ্বংস করেছেন।
17. তোমরা যারা দূরে ছিলে এবং তারা যারা কাছে ছিল, সকলের কাছেই তিনি এসে শান্তির সুখবর প্রচার করেছিলেন।
18. তাঁরই মধ্য দিয়ে একই পবিত্র আত্মার দ্বারা পিতার কাছে যাবার অধিকার আমাদের সকলের আছে।