2. পৃথিবীর সব জীবজন্তু, আকাশের পাখী, বুকে-হাঁটা প্রাণী, আর সমুদ্রের মাছ তোমাদের ভীষণ ভয় করে চলবে। এগুলো তোমাদের হাতেই দেওয়া হল।
3. জীবন্ত ও ঘুরে বেড়ানো সমস্ত প্রাণীই তোমাদের খাবার হবে। খাবার হিসাবে আমি আগে যেমন তোমাদের শস্য ও শাক-সব্জী দিয়েছিলাম তেমনি এখন এই সবও তোমাদের দিলাম;
4. কিন্তু প্রাণ সুদ্ধ, অর্থাৎ রক্ত সুদ্ধ মাংস তোমরা খাবে না।
5. কেউ যদি তোমাদের খুন করে তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাদের রক্তের বদলে তার রক্ত, অর্থাৎ তার প্রাণ দাবি করব, সে পশু হোক বা মানুষ হোক। মানুষের প্রাণ যে মানুষ নেয় তারও প্রাণ নিতে হবে- এ-ই আমার দাবি।
6. ঈশ্বর মানুষকে তাঁর মত করেই সৃষ্টি করেছেন; সেইজন্য কোন মানুষকে যদি কেউ খুন করে তবে অন্য একজনকে সেই খুনীর প্রাণ নিতে হবে।
7. তোমরা তোমাদের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা দ্বারা নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলো। তোমরা পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে পড় এবং নিজেদের সংখ্যা আরও বাড়াও।”
11. সেই ব্যবস্থা হল এই যে, বন্যার জল দিয়ে আর কখনও সমস্ত প্রাণীকে মেরে ফেলা হবে না এবং গোটা পৃথিবী ধ্বংস করে দেবার মত বন্যাও আর হবে না।”
14. যখন আমি উপরে মেঘ জমা করব তখন তার মধ্যে এই ধনুক দেখা দেবে,
15. আর তখনই তোমার এবং সমস্ত জীবজন্তুর জন্য আমার এই ব্যবস্থার কথা আমি মনে করব। এতে জল আর কখনও বন্যা হয়ে সমস্ত প্রাণীকে ধ্বংস করবে না।
16. মেঘের মধ্যে যখন সেই ধনুক দেখা দেবে তখন আমি তা দেখে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর জন্য আমার এই চিরস্থায়ী ব্যবস্থার কথা মনে করব।”
17. ঈশ্বর তারপর নোহকে বললেন, “পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর জন্য আমি যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছি এটাই হল তার চিহ্ন।”
18. জাহাজ থেকে নোহের ছেলে শেম, হাম আর যেফৎ বের হয়ে এসেছিলেন। পরে কনান নামে হামের একটি ছেলে হয়েছিল।