7. বন্যা থেকে রক্ষা পাবার জন্য নোহ, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ছেলেরা এবং ছেলেদের স্ত্রীরা সেই জাহাজে গিয়ে উঠলেন।
10. সেই সাত দিন পার হয়ে গেলে পর পৃথিবীতে বন্যা হল।
11. নোহের বয়স যখন ছ’শো বছর চলছিল, সেই বছরের দ্বিতীয় মাসের সতেরো দিনের দিন মাটির নীচের সমস্ত জল হঠাৎ বের হয়ে আসতে লাগল আর আকাশেও যেন ফাটল ধরল।
12. চল্লিশ দিন আর চল্লিশ রাত ধরে পৃথিবীর উপরে বৃষ্টি পড়তে থাকল।
13. যেদিন বৃষ্টি পড়তে আরম্ভ করল সেই দিন নোহ, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ছেলে শেম, হাম ও যেফৎ এবং তাঁর তিন ছেলের স্ত্রীরা গিয়ে জাহাজে উঠেছিলেন।
14. তাঁদের সংগে প্রত্যেক জাতের এক এক জোড়া করে বন্য ও গৃহপালিত পশু, বুকে-হাঁটা প্রাণী আর সব রকম পাখীও উঠেছিল।
15. শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা সব প্রাণীরাই জোড়ায় জোড়ায় নোহের কাছে জাহাজে গিয়ে উঠেছিল।
16. ঈশ্বর নোহকে আদেশ দেবার সময় যা বলেছিলেন সেই অনুসারে স্ত্রী-পুরুষ মিলেই তারা উঠেছিল। এর পর সদাপ্রভু জাহাজের দরজাটা বন্ধ করে দিলেন।
17. তারপর থেকে চল্লিশ দিন ধরে পৃথিবীতে বন্যার জল বেড়েই চলল। জল বেড়ে যাওয়াতে জাহাজটা মাটি ছেড়ে উপরে ভেসে উঠল।
18. পরে পৃথিবীর উপরে জল আরও বেড়ে গেল এবং জাহাজটা জলের উপরে ভাসতে লাগল।
19. পৃথিবীর উপরে জল কেবল বেড়েই চলল; ফলে যেখানে যত বড় বড় পাহাড় ছিল সব ডুবে গেল।
20. সমস্ত পাহাড়-পর্বত ডুবিয়ে জল আরও পনেরো হাত উপরে উঠে গেল।
21. এর ফলে মাটির উপরে ঘুরে বেড়ানো সমস্ত প্রাণী, পাখী, গৃহপালিত আর বন্য পশু, ঝাঁক বেঁধে চলে বেড়ানো ছোট ছোট প্রাণী এবং সমস্ত মানুষ মারা গেল।
22. শুকনা মাটির উপর যে সব প্রাণী বাস করত, অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে যারা বেঁচে ছিল তারা সবাই মরে গেল।
23. ঈশ্বর এইভাবে ভূমির সমস্ত প্রাণী পৃথিবীর উপর থেকে মুছে ফেললেন। তাতে মানুষ, পশু, বুকে-হাঁটা প্রাণী এবং আকাশের পাখী পৃথিবীর উপর থেকে মুছে গেল। কেবল নোহ এবং তাঁর সংগে যাঁরা জাহাজে ছিলেন তাঁরাই বেঁচে রইলেন।
24. পৃথিবী একশো পঞ্চাশ দিন জলে ডুবে রইল।