9. অনেক রথ ও ঘোড়সওয়ার নিয়ে তারা একটা বিরাট দল হয়ে যোষেফের সংগে চলল।
10. যর্দন নদীর অন্য পারে আটদের খামার বাড়ী পর্যন্ত গিয়ে যোষেফ সাত দিন ধরে তাঁর বাবার উদ্দেশে শোক-প্রকাশের অনুষ্ঠান করলেন। লোকেরাও খুব জোরে জোরে কান্নাকাটি করল।
11. আটদের খামারে তাদের এইভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখে সেই দেশের বাসিন্দারা, অর্থাৎ কনানীয়েরা বলল, “মিসরীয়দের এটা একটা গভীর শোক-প্রকাশ।” সেইজন্য যর্দন নদীর অন্য পারের এই জায়গাটার নাম দেওয়া হয়েছিল আবেল্-মিস্রয়ীম (যার মানে “মিসরীয়দের শোক-প্রকাশ”)।
12. ইস্রায়েল তাঁর ছেলেদের যা করতে বলেছিলেন তা তারা করল।
13. তারা তাঁর দেহ কনান দেশে নিয়ে গেল এবং মম্রির কাছে মক্পেলার জমির গুহাতে তাঁকে কবর দিল। কবরস্থান করবার জন্য জমি সুদ্ধ এই গুহাটাই অব্রাহাম হিত্তীয় ইফ্রোণের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন।
14. বাবাকে কবর দেবার পর যোষেফ, তাঁর ভাইয়েরা এবং যত লোক তাঁর বাবাকে কবর দিতে গিয়েছিল তারা সবাই মিসরে ফিরে গেল।
15. বাবা মারা গেছেন দেখে যোষেফের ভাইয়েরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “যোষেফের মনে যদি আমাদের উপর প্রতিশোধ নেবার ভাব থাকে, আর আমরা তার প্রতি যে অন্যায় করেছি যদি সে তার শোধ নেয়, তখন আমরা কি করব?”
18. এর পর তাঁর ভাইয়েরা তাঁর সামনে এসে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বলল, “আমরা তোমার দাস।”
19. কিন্তু যোষেফ তাদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না। ঈশ্বরের জায়গায় দাঁড়াবার আমি কে?
20. তোমরা আমার অমংগল করতে চেয়েছিলে, কিন্তু ঈশ্বর তার ভিতর দিয়ে মংগলের পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে অনেক লোকের প্রাণ রক্ষা পায়; আর আজ তা-ই হচ্ছে।
21. কাজেই তোমরা ভয় কোরো না। আমি তোমাদের ও তোমাদের ছেলেমেয়েদের খাবারের যোগান দেব।” এই সব আশার কথা বলে তিনি তাদের সান্ত্বনা দিলেন।
22. যোষেফ ও তাঁর বাবার পরিবারের লোকেরা মিসরেই বাস করতে লাগলেন। যোষেফ একশো দশ বছর বেঁচে ছিলেন।
23. তিনি ইফ্রয়িমের তিন পুরুষ পর্যন্ত দেখে গিয়েছিলেন। এছাড়া মাখীরের ছেলেমেয়েদেরও জন্মের পর যোষেফের কোলেই রাখা হয়েছিল। মাখীর ছিল মনঃশির ছেলে।