3. এতে তাঁদের চল্লিশ দিন কেটে গেল। এই কাজে চল্লিশ দিনই লাগত। মিসরীয়েরা ইস্রায়েলের জন্য সত্তর দিন ধরে শোক-প্রকাশের অনুষ্ঠান করল।
4. এই শোক-প্রকাশের সময় পার হয়ে গেলে পর যোষেফ ফরৌণের বাড়ীর কর্মচারীদের বললেন, “যদি তোমরা আমার উপর সন্তুষ্ট থাক তবে ফরৌণকে গিয়ে আমার এই কথাটা জানাও যে,
5. বাবা মারা যাবার সময় আমাকে এই বলে শপথ করিয়ে নিয়েছেন, আমি যেন কনান দেশে তাঁর ঠিক করে রাখা কবরটিতে তাঁর কবর দিই। তাঁকে এই অনুরোধ কর যেন তিনি সেই কাজের জন্য আমাকে যেতে দেন। তাঁকে বল কাজ শেষ করেই আমি আবার ফিরে আসব।”
6. এর উত্তরে ফরৌণ বলে পাঠালেন, “তিনি তোমাকে যে শপথ করিয়েছেন সেইমতই তুমি গিয়ে তাঁকে কবর দাও।”
7. তখন যোষেফ তাঁর বাবাকে কবর দেবার জন্য গেলেন। ফরৌণের সব কর্মচারীরা, অর্থাৎ তাঁর দরবারের এবং মিসরের সমস্ত সম্মানিত লোকেরা যোষেফের সংগে গেলেন।
8. এছাড়া যোষেফের নিজের এবং তাঁর বাবার পরিবারের সকলে ও তাঁর ভাইয়েরাও তাঁর সংগে গেল। গোশনে তারা কেবল রেখে গেল তাদের ছোট ছেলেমেয়েদের ও তাদের গরু-ভেড়ার পাল।
9. অনেক রথ ও ঘোড়সওয়ার নিয়ে তারা একটা বিরাট দল হয়ে যোষেফের সংগে চলল।
10. যর্দন নদীর অন্য পারে আটদের খামার বাড়ী পর্যন্ত গিয়ে যোষেফ সাত দিন ধরে তাঁর বাবার উদ্দেশে শোক-প্রকাশের অনুষ্ঠান করলেন। লোকেরাও খুব জোরে জোরে কান্নাকাটি করল।
11. আটদের খামারে তাদের এইভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখে সেই দেশের বাসিন্দারা, অর্থাৎ কনানীয়েরা বলল, “মিসরীয়দের এটা একটা গভীর শোক-প্রকাশ।” সেইজন্য যর্দন নদীর অন্য পারের এই জায়গাটার নাম দেওয়া হয়েছিল আবেল্-মিস্রয়ীম (যার মানে “মিসরীয়দের শোক-প্রকাশ”)।
12. ইস্রায়েল তাঁর ছেলেদের যা করতে বলেছিলেন তা তারা করল।
13. তারা তাঁর দেহ কনান দেশে নিয়ে গেল এবং মম্রির কাছে মক্পেলার জমির গুহাতে তাঁকে কবর দিল। কবরস্থান করবার জন্য জমি সুদ্ধ এই গুহাটাই অব্রাহাম হিত্তীয় ইফ্রোণের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন।
14. বাবাকে কবর দেবার পর যোষেফ, তাঁর ভাইয়েরা এবং যত লোক তাঁর বাবাকে কবর দিতে গিয়েছিল তারা সবাই মিসরে ফিরে গেল।
15. বাবা মারা গেছেন দেখে যোষেফের ভাইয়েরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “যোষেফের মনে যদি আমাদের উপর প্রতিশোধ নেবার ভাব থাকে, আর আমরা তার প্রতি যে অন্যায় করেছি যদি সে তার শোধ নেয়, তখন আমরা কি করব?”
18. এর পর তাঁর ভাইয়েরা তাঁর সামনে এসে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বলল, “আমরা তোমার দাস।”