5. ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “তোমার বাবা ও ভাইয়েরা তোমার কাছেই এসেছেন।
6. গোটা মিসর দেশটাই তো তোমার সামনে পড়ে আছে। দেশের সবচেয়ে ভাল জায়গায় তোমার বাবা ও ভাইদের বাস করতে দাও। তাঁরা গোশনেই বাস করুন। তাঁদের মধ্যে যোগ্য লোক পেলে তাঁদের উপর আমার পশুপালেরও ভার দাও।”
7. এর পর যোষেফ তাঁর বাবা যাকোবকে এনে ফরৌণের সামনে উপস্থিত করলেন, আর যাকোব ফরৌণকে আশীর্বাদ করলেন।
8. ফরৌণ যাকোবকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার বয়স কত হল?”
9. যাকোব বললেন, “এই পৃথিবীতে কিছুদিনের বাসিন্দা হিসাবে আমার একশো ত্রিশ বছর কেটে গেছে। এই দিনগুলোর সংখ্যা খুব বেশী নয়, আর তা দুঃখেই কেটেছে। তবে কিছুদিনের বাসিন্দা হিসাবে আমার পূর্বপুরুষেরা যতদিন কাটিয়ে গেছেন আমি ততদিন কাটাতে পারি নি।”
10. এর পর যাকোব ফরৌণকে আশীর্বাদ করে সেখান থেকে বিদায় নিলেন।
11. যোষেফ তাঁর বাবা ও ভাইদের স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করলেন। ফরৌণের আদেশ মত মিসর দেশের সবচেয়ে ভাল জায়াগাটাই তিনি তাঁদের সম্পত্তি হিসাবে দান করলেন। জায়গাটার নাম ছিল রামিষেষ।
12. যোষেফ তাঁর বাবা, ভাইদের ও তাঁদের পরিবারগুলোকে খাবারের যোগান দিতে লাগলেন। ছেলেমেয়েদের সংখ্যা হিসাবেই তা দেওয়া হত।
13. পরে দুর্ভিক্ষের অবস্থা এমন ভীষণ হয়ে উঠল যে, সারা দেশের কোথাও আর খাবার রইল না। দুর্ভিক্ষের দরুন মিসর এবং কনান দেশ একেবারে কাহিল হয়ে পড়ল।
14. মিসর এবং কনান দেশের লোকেরা যে শস্য কিনল তার দাম বাবদ যোষেফ ঐ দু’টা দেশে যত টাকা ছিল তা তুলে নিয়ে ফরৌণের রাজবাড়ীতে জমা দিলেন।
15. যখন মিসর ও কনান দেশের সব টাকা ফুরিয়ে গেল তখন মিসরীয়েরা যোষেফের কাছে এসে বলল, “আমাদের খেতে দিন। আমরা কি আপনার চোখের সামনেই মারা যাব? টাকা-পয়সা আমাদের যা ছিল সব ফুরিয়ে গেছে।”
16. যোষেফ বললেন, “তাহলে তোমাদের গরু-ভেড়া সব আমাকে দাও। তোমাদের টাকা যখন ফুরিয়ে গেছে তখন ওগুলোর বদলেই আমি তোমাদের খাবার দেব।”
17. তখন তারা তাদের সব গরু-ভেড়া যোষেফের কাছে আনতে লাগল। ছাগল, ভেড়া, গরু, ঘোড়া ও গাধার বদলে তিনি তাদের খাবার দিতে লাগলেন। সমস্ত পশু জমা রেখে তিনি গোটা বছরটাই তাদের খাওয়ালেন।
18. সেই বছরটা কেটে গেলে পর তার পরের বছরে লোকেরা এসে যোষেফকে বলল, “হুজুরের কাছে আমরা লুকাব না যে, আমাদের টাকা-পয়সা সব খরচ হয়ে গেছে, আর আমাদের পশুগুলোও হুজুরের। এখন আমাদের এই দেহ এবং জায়গা-জমি ছাড়া হুজুরকে দেবার মত আর আমাদের কিছুই নেই।