3. ঈশ্বর বললেন, “আমি ঈশ্বর, তোমার বাবার ঈশ্বর। মিসর দেশে যেতে ভয় কোরো না, কারণ আমি সেখানে তোমার মধ্য থেকে একটা মস্ত বড় জাতির সৃষ্টি করব।
4. আমি তোমার সংগে সংগে মিসরে যাব এবং আবার আমি তোমাকে নিশ্চয়ই ফিরিয়ে নিয়ে আসব। মৃত্যুকালে যোষেফ নিজের হাতে তোমার চোখ বন্ধ করে দেবে।”
5. এর পর যাকোব বের্-শেবা ছেড়ে রওনা হলেন। ফরৌণ তাঁদের নিয়ে যাবার জন্য যে সব গাড়ী পাঠিয়েছিলেন ইস্রায়েলের ছেলেরা তাতে করেই তাদের বাবাকে এবং স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলল।
6. যে সব পশু ও ধন-সম্পত্তি তারা কনান দেশে লাভ করেছিল সেই সব নিয়ে যাকোব ও তাঁর পরিবারের সবাই মিসরে গেলেন।
7. যাকোব তাঁর ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাত্নীদের, অর্থাৎ তাঁর বংশের সবাইকে নিয়ে মিসরে গেলেন।
8. ইস্রায়েলীয়েরা, অর্থাৎ যাকোব ও তাঁর বংশের লোকেরা যারা মিসরে গিয়েছিল তাদের তালিকা:যাকোবের বড় ছেলে রূবেণ।
9. রূবেণের ছেলে হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মি।
10. শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও শৌল। শৌল একজন কনানীয় স্ত্রীলোকের সন্তান।
11. লেবির ছেলে গের্শোন, কহাৎ ও মরারি।
12. যিহূদার ছেলে এর, ওনন, শেলা, পেরস ও সেরহ। এর ও ওনন কনান দেশেই মারা গিয়েছিল। পেরসের ছেলে হিষ্রোণ ও হামূল।
13. ইষাখরের ছেলে তোলয়, পূয়, যোব ও শিম্রোণ।
14. সবূলূনের ছেলে সেরদ, এলোন ও যহলেল।
15. মেয়ে দীণা সুদ্ধ এরা ছিল লেয়ার মধ্য দিয়ে যাকোবের বংশধর। এরা পদ্দন-অরামে জন্মেছিল। যাকোবের এই বংশধরেরা ছিল মোট তেত্রিশজন।
16. গাদের ছেলে সিফিয়োন, হগি, শূনী, ইষ্বোন, এরি, অরোদী ও অরেলী।
17. আশেরের ছেলে যিম্না, যিশ্বা, যিশ্বি, বরিয় ও তাদের বোন সেরহ। বরিয়ের ছেলে হেবর ও মল্কীয়েল।
18. লাবন তাঁর মেয়ে লেয়াকে সিল্পা নামে যে দাসী দিয়েছিলেন এরা সবাই তার মধ্য দিয়ে যাকোবের বংশধর। সিল্পা ও যাকোবের এই বংশধরেরা ছিল মোট ষোলজন।
19. যাকোবের স্ত্রী রাহেলের ছেলে যোষেফ ও বিন্যামীন।
20. যোষেফের ছেলে মনঃশি ও ইফ্রয়িম মিসর দেশে জন্মেছিল। এদের মা ছিলেন ওন্ শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনৎ।
21. বিন্যামীনের ছেলে বেলা, বেখর, অস্বেল, গেরা, নামন, এহী, রোশ, মুপ্পীম, হুপ্পীম ও অর্দ।