2. যে সবচেয়ে ছোট তার বস্তার মুখে আমার রূপার বাটিটা আর শস্যের জন্য তার দেওয়া টাকাও দিয়ে দিয়ো।” যোষেফ তাকে যা করতে বললেন সে তা-ই করল।
3. পর দিন ভোর হতেই গাধায় করে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হল।
4. তারা সবেমাত্র শহর থেকে বের হয়েছে কিন্তু বেশী দূরে যায় নি, এমন সময় যোষেফ তাঁর বাড়ীর তদারককারীকে বললেন, “তাড়াতাড়ি করে ঐ লোকদের পিছনে যাও। ওদের নাগাল পেলে পর বলবে, ‘তোমরা উপকারের বদলে অপকার করে আসলে কেন?
5. ঐ বাটিতে করেই তো আমার মনিব পান করেন এবং ওটা দিয়েই গোণাপড়ার কাজ করেন। তোমরা এই কাজ করে খুব অন্যায় করেছ।’ ”
6. পথে সেই তদারককারী তাদের নাগাল পেয়ে সেই কথা বলল।
7. কিন্তু তারা তাকে বলল, “হুজুর, আপনি এই সব কথা কেন বলছেন? আপনার দাসেরা এই রকম কাজ কখনও করবে না।
8. দেখুন, গতবারে আমাদের বস্তার মুখে যে টাকা পেয়েছিলাম তা আমরা কনান দেশ থেকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলাম। এর পর আপনার মনিবের বাড়ী থেকে আমরা রূপা বা সোনা চুরি করে আনব কেন?
9. যদি সেই বাটি আপনার এই দাসদের কারও কাছে পাওয়া যায় তবে তাকে যেন মেরে ফেলা হয়, আর তখন আমরাও আমাদের মনিবের দাস হয়ে থাকব।”
10. সেই তদারককারী বলল, “বেশ, তোমরা যা বললে তা-ই হোক। কিন্তু যার কাছে সেই বাটি পাওয়া যাবে কেবল সে-ই আমার দাস হয়ে থাকবে। অন্য কারও কোন দোষ থাকবে না।”
11. তখন প্রত্যেকে তাড়াতাড়ি করে তার বস্তা মাটিতে নামিয়ে খুলল।
12. সেই তদারককারী তখন বড় ভাইয়ের বস্তা থেকে আরম্ভ করে ছোট ভাইয়ের বস্তা পর্যন্ত খুঁজে দেখল, আর বিন্যামীনের বস্তায় সেই বাটি পাওয়া গেল।
13. এই ব্যাপার দেখে তারা তাদের কাপড় ছিঁড়ল। তারপর তারা তাদের গাধার পিঠে প্রত্যেকের বস্তা চাপিয়ে আবার শহরে ফিরে গেল।
14. যিহূদা ও তার ভাইয়েরা যে সময় যোষেফের বাড়ীতে গেল যোষেফ তখনও সেখানে ছিলেন। তারা তাঁর সামনে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল।
15. তখন যোষেফ তাদের বললেন, “তোমরা এ কি করেছ? আমার মত লোক যে সত্যিই সব কিছু গুণে বের করতে পারে তা কি তোমরা জানতে না?”
16. যিহূদা বলল, “হুজুরকে আমরা আর কি বলব? কি উত্তরই বা দেব? আর কেমন করেই বা নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণ করব? আপনার দাসদের দোষ তো ঈশ্বরই দেখিয়ে দিয়েছেন। যার কাছে সেই বাটিটা পাওয়া গেছে সে আর আমরা সবাই হুজুরের দাস হলাম।”