18. তখন যিহূদা যোষেফের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল, “হুজুর, আপনি ফরৌণের জায়গায় আছেন, সেইজন্য আপনার দাসকে আপনার কাছে দু’টি কথা বলবার অনুমতি দিন। আপনার দাসের উপর আপনি রাগ করবেন না।
19. হুজুর, আপনার দাসদের আপনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তোমাদের বাবা কি বেঁচে আছেন এবং তোমাদের আর কোন ভাই আছে কি? ’
20. তাতে আমরা হুজুরকে বলেছিলাম, ‘আমাদের বুড়ো বাবা বেঁচে আছেন এবং তাঁর বুড়ো বয়সের একটি ছেলে আছে। তার ভাই মারা গেছে, আর একই মায়ের সন্তান হিসাবে এখন সে একাই কেবল পড়ে আছে। তাই তার বাবা তাকে খুব ভালবাসেন।’
21. “তারপর আপনি আপনার দাসদের বলেছিলেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে এস; আমি তাকে দেখতে চাই।’
22. কিন্তু আমরা হুজুরকে বলেছিলাম, ‘ছেলেটি তার বাবাকে ছেড়ে আসতে পারবে না। যদি আসে তবে তার বাবা মারা যাবেন।’
23. কিন্তু আপনি আপনার দাসদের বলেছিলেন, ‘তোমাদের ছোট ভাইকে সংগে করে না আনলে তোমরা আর আমার সামনে আসবে না।’
24. সেইজন্য আমরা ফিরে গিয়ে আপনার দাসকে, অর্থাৎ আমার বাবাকে হুজুরের সব কথাই জানিয়েছিলাম।
25. “পরে আমাদের বাবা বললেন, ‘তোমরা ফিরে গিয়ে আমাদের জন্য আরও কিছু শস্য কিনে নিয়ে এস।’
26. তখন আমরা বললাম, ‘আমাদের ছোট ভাই যদি আমাদের সংগে যায় তবেই আমরা যাব। তা না হলে আমরা সেখানে যেতে পারব না। আমাদের ছোট ভাই যদি আমাদের সংগে না থাকে তবে আমরা সেই লোকটির সামনেই যেতে পারব না।’
27. “তখন আপনার দাস, অর্থাৎ আমার বাবা আমাদের বললেন, ‘তোমরা তো জান আমার ঐ স্ত্রীর দু’টি ছেলে হয়েছিল।
28. একবার তাদের একজন আমার সামনে থেকে বেরিয়ে গেল, আর শেষে আমি বুঝতে পারলাম যে, নিশ্চয়ই কোন জানোয়ার তাকে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে। তারপর থেকে তাকে আমি আর দেখতে পাই নি।
29. এখন যদি তোমরা একেও আমার কাছ থেকে নিয়ে যাও আর তার কোন ক্ষতি হয়, তবে এই বুড়ো বয়সে অনেক দুঃখ-বেদনার মধ্য দিয়ে তোমরা আমাকে মৃতস্থানে পাঠাবে।’
30-31. “সেইজন্য এখন যদি আপনার দাসের কাছে, অর্থাৎ আমার বাবার কাছে আমি ফিরে যাই আর ছেলেটিকে তিনি আমাদের সংগে না দেখেন তবে নিশ্চয়ই তিনি মারা যাবেন, কারণ ছেলেটির সংগে তাঁর প্রাণ যেন একসংগে বাঁধা আছে। এইভাবে আপনার দাসেরা তাদের বুড়ো বাবাকে, অর্থাৎ আপনার দাসকে অনেক দুঃখের মধ্য দিয়ে মৃতস্থানে পাঠাবে।
32. আপনার দাস আমি আমার বাবার কাছে ছেলেটির জন্য এই বলে জামিন রয়েছি, ‘যদি আমি তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে না আনি তবে বাবা, চিরকালের জন্য আমি তোমার কাছে দোষী হয়ে থাকব।’
33. কাজেই হুজুর, দয়া করে ছেলেটির বদলে আমাকে আপনার দাসের মত করে রাখুন, আর ছেলেটিকে তার ভাইদের সংগে ফিরে যেতে দিন।