9. আমি নিজেই ওর জন্য জামিন রইলাম। ওর জন্য তুমি আমাকেই দায়ী কোরো। আমি যদি ওকে তোমার কাছে ফিরিয়ে না এনে দিই তবে চিরকাল আমি তোমার কাছে দোষী হয়ে থাকব।
10. যদি আমরা এত দেরি না করতাম তবে নিশ্চয়ই এতদিনে আমরা আরও দু’বার গিয়ে ফিরে আসতে পারতাম।”
11. তাদের বাবা তখন বললেন, “যদি তা-ই করতে হয়, তবে এক কাজ কর। উপহার হিসাবে সেই লোকটির জন্য তোমাদের বস্তায় করে এই দেশের সবচেয়ে ভাল ভাল জিনিস থেকে কিছু কিছু করে নিয়ে যাও, যেমন গুগ্গুলু, মধু, সুগন্ধি মসলা, গন্ধরস, পেস্তা ও বাদাম।
12. আর তোমরা সংগে করে দ্বিগুণ টাকা নাও, কারণ বস্তার মুখে যে টাকা তারা ফিরিয়ে দিয়েছে তা-ও ফেরৎ দিতে হবে। হয়তো তারা ভুল করে তা দিয়ে দিয়েছে।
13. তোমাদের ভাইকে সংগে নিয়ে তোমরা তাড়াতাড়ি করে সেই লোকটির কাছে ফিরে যাও।
14. সর্বশক্তিমান ঈশ্বর করুন যেন সেই লোকটি তোমাদের দয়া করেন, আর তোমাদের সেই ভাই ও বিন্যামীনকে তোমাদের হাতে ছেড়ে দেন; আর যদি আমাকে সন্তানহারা হতেই হয় তবে না হয় তা-ই হলাম।”
15. তখন তারা সেই উপহার, দ্বিগুণ টাকা ও বিন্যামীনকে নিয়ে রওনা হয়ে গেল। মিসর দেশে পৌঁছে তারা যোষেফের সামনে উপস্থিত হল।
16. তাদের সংগে বিন্যামীনকে দেখে যোষেফ তাঁর বাড়ীর তদারককারীকে বললেন, “ঐ লোকদের বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যাও আর মাংস রান্নার ব্যবস্থা কর। এই সব লোক দুপুরবেলা আমার সংগে খাবে।”
17. যোষেফ যা বললেন তদারককারী তা-ই করল। সে ঐ লোকদের যোষেফের বাড়ীতে নিয়ে চলল।
18. যোষেফের বাড়ীতে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেখে সেই লোকেরা ভয়ে বলাবলি করতে লাগল, “আগের বারে যে টাকা আমাদের বস্তার মধ্যে ফেরৎ গিয়েছিল তারই জন্য আমাদের ওখানে নেওয়া হচ্ছে। এইবার তিনি আমাদের দোষ দেখিয়ে আমাদের ধরে নিয়ে যাবেন, আর আমাদের গাধাগুলো কেড়ে নিয়ে আমাদের তাঁর দাস বানিয়ে রাখবেন।”
19. কাজেই তারা যোষেফের বাড়ীর দরজার সামনে এসে বাড়ীর তদারককারীকে বলল,
20. “হুজুর, আমরা এর আগেও একবার শস্য কিনতে এসেছিলাম।