16. তাদের সংগে বিন্যামীনকে দেখে যোষেফ তাঁর বাড়ীর তদারককারীকে বললেন, “ঐ লোকদের বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যাও আর মাংস রান্নার ব্যবস্থা কর। এই সব লোক দুপুরবেলা আমার সংগে খাবে।”
17. যোষেফ যা বললেন তদারককারী তা-ই করল। সে ঐ লোকদের যোষেফের বাড়ীতে নিয়ে চলল।
18. যোষেফের বাড়ীতে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেখে সেই লোকেরা ভয়ে বলাবলি করতে লাগল, “আগের বারে যে টাকা আমাদের বস্তার মধ্যে ফেরৎ গিয়েছিল তারই জন্য আমাদের ওখানে নেওয়া হচ্ছে। এইবার তিনি আমাদের দোষ দেখিয়ে আমাদের ধরে নিয়ে যাবেন, আর আমাদের গাধাগুলো কেড়ে নিয়ে আমাদের তাঁর দাস বানিয়ে রাখবেন।”
19. কাজেই তারা যোষেফের বাড়ীর দরজার সামনে এসে বাড়ীর তদারককারীকে বলল,
20. “হুজুর, আমরা এর আগেও একবার শস্য কিনতে এসেছিলাম।
21. কিন্তু ফিরে যাবার পথে বিশ্রামের জায়গায় পৌঁছে আমাদের বস্তা খুলতেই দেখি আমাদের পুরো টাকাই যার যার বস্তার মুখে রয়েছে। আমরা এখন সেই টাকা ফিরিয়ে এনেছি।
22. এছাড়া শস্য কিনবার জন্য সংগে করে আমরা আরও টাকা এনেছি। সেই টাকা আমাদের বস্তায় কে দিয়ে দিয়েছিল তা আমরা জানি না।”
23. সেই তদারককারী বলল, “সব ঠিক আছে, ভয় নেই। তোমাদের ও তোমাদের বাবার ঈশ্বরই সেই দান তোমাদের বস্তায় রেখেছিলেন। তোমাদের টাকা আমি পেয়েছি।” এই বলে সে শিমিয়োনকে বের করে তাদের কাছে নিয়ে আসল।
24. তারপর সে সবাইকে যোষেফের বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গিয়ে জল দিল আর তারা পা ধু’ল। সে তাদের গাধাগুলোকেও খেতে দিল।
25. যোষেফ দুপুরে আসবেন বলে তারা তাদের উপহারগুলো ঠিক করে রাখল। তারা শুনেছিল তাদের খাওয়া-দাওয়া সেখানেই হবে।
26. যোষেফ যখন বাড়ী আসলেন তখন তারা তাদের সেই উপহার বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দিল এবং মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করল।
27. তারা ভাল আছে কিনা সেই খবর নেবার পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের যে বুড়ো বাবার কথা তোমরা বলেছিলে তিনি কি ভাল আছেন? তিনি কি এখনও বেঁচে আছেন?”
28. উত্তরে তারা বলল, “আপনার দাস আমাদের বাবা এখনও বেঁচে আছেন এবং ভালই আছেন।” এই বলে তারা মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে যোষেফকে সম্মান জানাল।
29. যোষেফ চারদিকে চেয়ে তাঁর নিজের ভাই বিন্যামীনকে দেখে বললেন, “এ-ই কি তোমাদের সেই ছোট ভাই যার কথা তোমরা আমাকে বলেছিলে?” তারপর তিনি বিন্যামীনকে বললেন, “ঈশ্বর তোমাকে দয়া করুন!”
30. ভাইকে দেখে যোষেফের অন্তর ভীষণভাবে দুলে উঠল। তিনি একটা কাঁদবার জায়গার খোঁজে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বের হয়ে গেলেন এবং নিজের কামরায় ঢুকে কাঁদতে লাগলেন।
31. পরে চোখ-মুখ ধুয়ে তিনি বের হয়ে আসলেন এবং নিজেকে সামলে নিয়ে খাবার পরিবেশনের হুকুম দিলেন।