11. আমরা সবাই একই বাবার সন্তান। আমরা অসৎ নই। আপনার দাসেরা গুপ্তচর নয়।”
12. তখন যোষেফ আবার তাদের বললেন, “না, না, আমাদের দেশের কোন্ কোন্ জায়গায় রক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই, তোমরা তা দেখে নিতে এসেছ।”
13. কিন্তু তারা বলল, “আপনার দাসেরা সব সুদ্ধ বারো ভাই। আমরা কনান দেশের একজন লোকেরই সন্তান। আমাদের সবচেয়ে ছোট ভাইটি এখন বাবার কাছে রয়েছে, আর আমাদের অন্য এক ভাই বেঁচে নেই।”
14. যোষেফ তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সম্বন্ধে যা বলেছি তা-ই ঠিক, তোমরা গুপ্তচর।
15. এতেই তোমাদের পরীক্ষা হয়ে যাবে- তোমাদের ছোট ভাই যতক্ষণ পর্যন্ত এখানে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এখান থেকে ছাড়া পাবে না। আমার এই কথাটা আমি ফরৌণের জীবনের দিব্য দিয়েই বলছি।
16. তোমাদের ছোট ভাইকে নিয়ে আসবার জন্য তোমাদের মধ্য থেকে একজনকে পাঠিয়ে দাও, আর বাকীরা সব বন্দী থাক। তোমাদের কথা সত্যি কি না এতেই তার প্রমাণ হবে। কিন্তু যদি তাকে নিয়ে না আস তবে ফরৌণের জীবনের দিব্য দিয়ে বলছি যে, তোমরা গুপ্তচর।”
17. এই বলে যোষেফ তিন দিন পর্যন্ত তাদের সবাইকে জেলে বন্দী করে রাখলেন।
18. তৃতীয় দিনে যোষেফ তাদের বললেন, “আমি যা বলছি তা কর এবং প্রাণ রক্ষা কর, কারণ আমি ঈশ্বরকে ভয় করি।
19. তোমরা যদি সত্যিই সৎ লোক হও তবে তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে একজন এই জেলে বন্দী থাকুক, আর বাকী সবাই তোমাদের উপবাসী পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে চলে যাক।
20. তোমাদের কথা যে সত্যি তা প্রমাণ করবার জন্য তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এস। তা হলেই তোমরা মৃত্যু থেকে রেহাই পাবে।” তারা তাতেই রাজী হল।
21. তারপর তারা একে অন্যকে বলল, “সত্যিই আমাদের সেই ভাইয়ের প্রতি আমরা যা করেছি তাতে আমরা দোষী। সে যখন আমাদের কাছে কাকুতি-মিনতি করছিল তখন তার মনের কষ্ট দেখেও আমরা তার কথায় কান দিই নি। সেইজন্য আমাদের উপর এই কষ্ট এসেছে।”
22. রূবেণ তাদের বলল, “আমি তো তোমাদের বলেছিলাম, ‘তার প্রতি কোন অন্যায় কোরো না,’ কিন্তু তোমরা তা শোন নি। এখন তার রক্তের শোধ দেবার সময় এসেছে।”