14. তখন ফরৌণ যোষেফকে ডেকে আনবার জন্য লোক পাঠালেন, আর তারা তাড়াতাড়ি করে জেলখানা থেকে তাঁকে বের করে আনল। যোষেফ দাড়ি কামিয়ে কাপড়-চোপড় বদলে ফরৌণের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।
15. তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু কেউই তার মানে বলতে পারছে না। আমি শুনেছি যে, তোমার কাছে স্বপ্নের ঘটনা বললে পর তুমি তার মানে বলতে পার।”
16. উত্তরে যোষেফ ফরৌণকে বললেন, “সেই ক্ষমতা আমার নেই। তবে ঈশ্বর মহারাজের স্বপ্নের অর্থ বলে দিয়ে তাঁর মন শান্ত করবেন।”
17. তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “স্বপ্নে দেখলাম, আমি নীল নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আছি,
18. আর আশ্চর্য এই যে, নদীর মধ্য থেকে সাতটা সুন্দর, মোটাসোটা গরু উঠে এসে নল বনে চরে বেড়াতে লাগল।
19. এর পর আরও সাতটা গরু উঠে আসল। সেগুলো ছিল রোগা, বিশ্রী ও দেখতে মরার মত। সারা মিসর দেশের কোথাও এই ধরনের বিশ্রী গরু কখনও আমার চোখে পড়ে নি।
20. পরে সেই রোগা, বিশ্রী গরুগুলো আগেকার সাতটা মোটাসোটা গরুগুলো খেয়ে ফেলল,
21. অথচ তাদের দেখে মনে হল না যে, সেই মোটাসোটা গরুগুলো তারা খেয়েছে, কারণ আগের মত তারা দেখতে বিশ্রীই রয়ে গেল। তার পরেই আমার ঘুম ভেংগে গেল।
22. পরে আমি আবার স্বপ্ন দেখলাম। আমি দেখলাম একটা বোঁটায় সাতটা বড় এবং তাজা গমের শীষ গজালো।
23. তার পরে সাতটা শুকনা, অপুষ্ট শীষ গজালো। সেগুলো পূবের বাতাসের গরমে শুকিয়ে গিয়েছিল।
24. এই সাতটা অপুষ্ট শীষ সেই তাজা সাতটা শীষ গিলে ফেলল। আমি এই সব কথা যাদুকরদের বলেছিলাম, কিন্তু কেউই এর মানে আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারল না।”
25. তখন যোষেফ ফরৌণকে বললেন, “মহারাজের এই দু’টি স্বপ্নই আসলে এক। ঈশ্বর যা করতে যাচ্ছেন তা তিনি মহারাজের কাছে প্রকাশ করেছেন।
26. সাতটা মোটাসোটা গরুর মানে সাত বছর আর তাজা সাতটা গমের শীষের মানেও সাত বছর। আপনার দু’টি স্বপ্নই আসলে এক।