2. সদাপ্রভু যোষেফের সংগে সংগে ছিলেন। সেইজন্য তিনি সব কাজে সফল হতে লাগলেন। তাঁকে তাঁর মিসরীয় মনিবের বাড়ীতেই রাখা হল।
10. পোটীফরের স্ত্রী দিনের পর দিন সেই একই কথা বলতে লাগল। কিন্তু যোষেফ তার সংগে শোবার এই অনুরোধে কান দিলেন না, এমন কি, তার কাছাকাছি থাকতেও রাজি হলেন না।
11. একদিন কোন কাজের জন্য যোষেফ বাড়ীর ভিতরে গেলেন। তখন বাড়ীর কেউই সেখানে ছিল না।
12. এমন সময় পোটীফরের স্ত্রী যোষেফের কাপড় টেনে ধরে বলল, “আমার বিছানায় এস।” যোষেফ তখন কাপড়টা তার হাতে ফেলে রেখেই বাইরে পালিয়ে গেলেন।
15. আমার চিৎকার আর হাঁকডাক শুনে সে তার কাপড়টা আমার কাছে ফেলে রেখেই বাইরে পালিয়ে গেছে।”
16. যোষেফের মনিব বাড়ী ফিরে না আসা পর্যন্ত কাপড়টা সে তার কাছেই রেখে দিল।
17. পরে সে পোটীফরের কাছে এই কথা জানাতে গিয়ে বলল, “তুমি যে ইব্রীয় দাসকে আমাদের কাছে এনেছ সে আমাকে অপমান করবার মতলবে আমার ঘরে ঢুকেছিল।
18. কিন্তু আমি চিৎকার ও হাঁকডাক করাতে সে আমার কাছে তার কাপড় ফেলে রেখেই বাইরে পালিয়ে গেছে।”
19. স্ত্রীর কথা শুনে যোষেফের মনিব রেগে আগুন হয়ে গেলেন, কারণ তাঁর স্ত্রী বলেছিল, “এমনি ধরনের ব্যবহারই তোমার দাস আমার সংগে করেছে।”
20-21. তখন পোটীফর যোষেফকে জেলে দিলেন। সেই জায়গায় রাজার বন্দীদের আটক করে রাখা হত। কিন্তু জেলের মধ্যেও সদাপ্রভু যোষেফের সংগে সংগে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত রইলেন এবং এমন করলেন যাতে যোষেফ প্রধান জেলরক্ষকের সুনজরে পড়েন।