22. সে তাদের পরামর্শ দিয়ে বলল, “খুন-খারাবি করতে যেয়ো না। ওর গায়ে হাত না তুলে বরং ওকে এই মরু-এলাকার এই গর্তটার মধ্যে ফেলে দাও।” পরে যোষেফকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে বাবার হাতে তুলে দেবে মনে করেই সে এই কথাটা বলল।
23. যোষেফ তাঁর ভাইদের কাছে এসে পৌঁছামাত্র তারা জোর করে তাঁর গা থেকে সেই পুরো হাতার লম্বা জামাটা খুলে নিল।
24. তারপর তারা তাঁকে ধরে সেই গর্তের মধ্যে ফেলে দিল। গর্তটায় কোন জল ছিল না, সেটা খালি ছিল।
25. এর পর যোষেফের ভাইয়েরা খাওয়া-দাওয়া করতে বসে দেখতে পেল গিলিয়দ থেকে একদল ইশ্মায়েলীয় ব্যবসায়ী আসছে। উটের পিঠে করে তারা সুগন্ধি মসলা, গুগ্গুলু ও গন্ধরস নিয়ে মিসর দেশে যাচ্ছিল।
26. তখন যিহূদা তার ভাইদের বলল, “ধর, ভাইকে মেরে ফেলে আমরা কথাটা গোপন করলাম। তাতে আমাদের লাভটা কি?
27. ও তো আমাদের নিজের ভাই, আমাদেরই রক্ত-মাংস। তাই ওর গায়ে হাত না দিয়ে বরং এস, আমরা ওকে ইশ্মায়েলীয়দের কাছে বিক্রি করে দিই।” ভাইয়েরা তার কথাটা মেনে নিল।
28. সেই মিদিয়নীয় ব্যবসায়ীরা কাছে আসতেই ভাইয়েরা যোষেফকে গর্ত থেকে টেনে তুলল এবং বিশ টুকরা রূপার বদলে ইশ্মায়েলীয়দের কাছে তাঁকে বেঁচে দিল। সেই ব্যবসায়ীরা যোষেফকে মিসরে নিয়ে গেল।
29-30. পরে রূবেণ সেই গর্তের কাছে গিয়ে যোষেফকে দেখতে না পেয়ে দুঃখে তার কাপড় ছিঁড়ে ভাইদের কাছে গিয়ে বলল, “যোষেফ তো ওখানে নেই। আমি এখন কি করি?”
31. তারা তখন একটা ছাগল কেটে তার রক্তে যোষেফের সেই জামাটা ডুবাল।
32. পরে তারা সেটা তাদের বাবার কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, “আমরা এটা কুড়িয়ে পেয়েছি। তুমি ভাল করে দেখ, জামাটা তোমার ছেলের কি না।”
33. যাকোব জামাটা চিনতে পেরে বললেন, “এই জামাটা আমার ছেলেরই। তাকে কোন বুনো জানোয়ারে খেয়ে ফেলেছে। জানোয়ারটা যে তাকে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।”
34. যাকোব তাঁর কাপড় ছিঁড়ে কোমরে ছালার চট জড়িয়ে তাঁর ছেলের জন্য অনেক দিন পর্যন্ত শোক করলেন।
35. তাঁর অন্য সব ছেলেমেয়েরা তাঁকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করল, কিন্তু কোন সান্ত্বনার কথাই তিনি শুনলেন না। তিনি বললেন, “শোক করতে করতেই আমি মৃতস্থানে আমার ছেলের কাছে যাব।” এইভাবে যাকোব যোষেফের জন্য কাঁদতে লাগলেন।
36. এদিকে মিদিয়নীয়েরা যোষেফকে মিসরে নিয়ে গিয়ে পোটীফরের কাছে বিক্রি করে দিল। পোটীফর ছিলেন ফরৌণের একজন কর্মচারী, তাঁর রক্ষীদলের প্রধান।