2. এষৌ কনানীয় মেয়েদের বিয়ে করেছিলেন। সেই মেয়েরা হল হিত্তীয় এলোনের মেয়ে আদা আর হিব্বীয় সিবিয়োনের নাত্নী, অর্থাৎ অনার মেয়ে অহলীবামা।
3. এছাড়া তিনি ইশ্মায়েলের মেয়ে, অর্থাৎ নবায়োতের বোন বাসমত্কেও বিয়ে করেছিলেন।
4. এদের মধ্যে আদার গর্ভে ইলীফস এবং বাসমতের গর্ভে রূয়েলের জন্ম হয়েছিল;
5. আর অহলীবামার গর্ভে যিয়ূশ, যালম ও কোরহের জন্ম হয়েছিল। কনান দেশেই এষৌর এই সব ছেলেদের জন্ম হয়েছিল।
6. পরে এষৌ তাঁর স্ত্রীদের, ছেলেমেয়েদের এবং বাড়ীর অন্য সবাইকে আর গরু, ভেড়া, অন্যান্য পশু ও কনান দেশে আয় করা সমস্ত ধন-দৌলৎ নিয়ে তাঁর ভাই যাকোবের কাছ থেকে অনেক দূরে আর একটা দেশে চলে গেলেন।
7. এষৌ আর যাকোবের পশুধন এত বেশী ছিল যে, তাঁদের পক্ষে এক সংগে বাস করা সম্ভব হল না; তাঁরা যেখানে ছিলেন সেখানে তাঁদের দু’জনের পশুপাল চরাবার মত যথেষ্ট জায়গা ছিল না।
8. সেইজন্য এষৌ সেয়ীরের পাহাড়ী এলাকাতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বাস করতে লাগলেন। এষৌর আর এক নাম ছিল ইদোম।
9. এই হল সেয়ীরের পাহাড়ী এলাকায় ইদোমীয়দের পূর্বপুরষ এষৌর বংশের কথা।
10. এষৌর ছেলেদের নাম ইলীফস আর রূয়েল। ইলীফস আদার ছেলে ও রূয়েল বাসমতের ছেলে।
11. ইলীফসের ছেলেরা হল তৈমন, ওমার, সফো, গয়িতম ও কনস।
12. এষৌর ছেলে ইলীফসের তিম্না নামে একজন উপস্ত্রী ছিল। তার গর্ভে অমালেকের জন্ম হয়েছিল। এরা সবাই এষৌর স্ত্রী আদার নাতি।
13. রূয়েলের ছেলেরা হল নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা। এরা এষৌর স্ত্রী বাসমতের নাতি।
14. সিবিয়োনের নাত্নীর, অর্থাৎ অনার মেয়ে অহলীবামার ছেলেরা হল যিয়ূশ, যালম ও কোরহ।
15. এষৌর ছেলেদের মধ্যে কয়েকজন গোষ্ঠীর সর্দার হয়েছিলেন। এষৌর বড় ছেলে ইলীফসের যে ছেলেরা সর্দার হয়েছিলেন তাঁরা হলেন তৈমন, ওমার, সফো, কনস,
16. কোরহ, গয়িতম ও অমালেক। ইদোম দেশে এঁরাই ছিলেন আদার ছেলে ইলীফসের বংশধর।
17. রূয়েলের যে ছেলেরা গোষ্ঠী-সর্দার হয়েছিলেন তাঁরা হলেন নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা। এঁরা ছিলেন এষৌর স্ত্রী বাসমতের ছেলে রূয়েলের বংশধর। ইদোম দেশে এঁদের জন্ম হয়েছিল।
18. এষৌর স্ত্রী অহলীবামার যে ছেলেরা গোষ্ঠী-সর্দার হয়েছিলেন তাঁরা হলেন যিয়ূশ, যালম ও কোরহ। এঁরা ছিলেন অনার মেয়ে অহলীবামার সন্তান।