5. তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমি লক্ষ্য করেছি আমার প্রতি তোমাদের বাবার আগের সেই মনোভাব আর নেই, কিন্তু আমার বাবার ঈশ্বর আমার সংগে সংগে আছেন।
6. তোমরা তো জান যে, আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়েই তোমাদের বাবার কাজ করেছি,
7. অথচ তিনি আমাকে ঠকিয়েছেন এবং দশ-দশবার আমার বেতন বদল করেছেন। যাহোক, ঈশ্বর তাঁকে আমার কোন ক্ষতি করতে দেন নি।
8. যখন তোমাদের বাবা বলেছেন, ‘তোমার বেতন হবে এমন সব পশু যাদের গায়ে ছোট ছোট ছাপ আছে,’ তখন পালের সব পশুগুলোই সেই রকম বাচ্চা দিয়েছে। আবার যখন তিনি বলেছেন, ‘তোমার বেতন হবে ডোরাকাটা পশু,’ তখন পালের সব পশুগুলোই ডোরাকাটা বাচ্চা দিয়েছে।
9. ঈশ্বর এইভাবে তোমাদের বাবার পালের পশু নিয়ে আমাকে দিয়েছেন।
45-46. তখন যাকোব একটা পাথর নিয়ে থামের মত করে দাঁড় করালেন আর তাঁর আত্মীয়দের বললেন, “আপনারা কিছু পাথর এনে জড়ো করুন।” তখন তারা পাথর এনে জড়ো করে একটা ঢিবি করল আর সকলেই তার পাশে খাওয়া-দাওয়া করল।
47. লাবন সেই ঢিবির নাম রাখলেন যিগর্-সাহদূথা (যার মানে “সাক্ষ্য-ঢিবি”), কিন্তু যাকোব তাঁর নিজের ভাষায় তার নাম দিলেন গল্-এদ (যার মানেও “সাক্ষ্য-ঢিবি”)।
48. লাবন বললেন, “এই ঢিবিটাই আজ তোমার ও আমার মধ্যে সাক্ষী হয়ে রইল।” এইজন্য এই ঢিবিটার নাম দেওয়া হয়েছিল গল্-এদ।
49. তা ছাড়া এর আর একটা নাম দেওয়া হয়েছিল মিসপা (যার মানে “পাহারা-স্থান”), কারণ লাবন বলেছিলেন, “আমরা যখন আর একে অন্যকে দেখব না তখন সদাপ্রভুই যেন আমার ও তোমার উপর চোখ রাখেন।
50. যদি তুমি আমার মেয়েদের সংগে খারাপ ব্যবহার কর, কিম্বা আমার মেয়েরা থাকতেও অন্য স্ত্রী গ্রহণ কর, তবে আর কেউ আমাদের সংগে না থাকলেও মনে রেখো, ঈশ্বরই আমাদের সাক্ষী হয়ে রইলেন।”
51. লাবন যাকোবকে আরও বললেন, “এই ঢিবির দিকে চেয়ে দেখ, আর এই যে থামটা আমি আমার ও তোমার মধ্যে রেখেছি সেটার দিকেও চেয়ে দেখ।
52. এই ঢিবি আর থাম দু’টাই এই কথার সাক্ষী হয়ে রইল যে, এই ঢিবি পার হয়ে আমি তোমার ক্ষতি করতে যাব না, আর তুমিও এই ঢিবি কিম্বা থাম পার হয়ে আমার ক্ষতি করতে আসবে না।
53. তা করলে অব্রাহামের ঈশ্বর এবং নাহোর ও তাঁদের বাবার দেবতারাই যেন আমাদের বিচার করেন।” যাকোব কিন্তু তাঁরই নামে শপথ করলেন যিনি তাঁর বাবা ইস্হাকের ভক্তির পাত্র ছিলেন।
54. এর পর যাকোব সেই পাহাড়ে পশু-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন এবং তাঁর আত্মীয়দের খাওয়া-দাওয়া করতে ডাকলেন। খাওয়া-দাওয়ার পর সেই পাহাড়ের উপরেই তাঁরা রাতটা কাটালেন।
55. পরদিন খুব ভোরে উঠে লাবন তাঁর মেয়েদের ও নাতি-নাত্নীদের চুম্বন ও আশীর্বাদ করলেন। তারপর বিদায় নিয়ে তিনি তাঁর বাড়ীর দিকে ফিরে চললেন।