2. তখন রাহেলের উপর যাকোবের খুব রাগ হল। তিনি বললেন, “আমি ঈশ্বর নাকি? তিনিই তো তোমাকে বন্ধ্যা করেছেন।”
3. রাহেল বললেন, “আমার দাসী বিল্হাকে নাও। তুমি তার কাছে যাও যাতে তার মধ্য দিয়ে আমি সন্তান কোলে পাই, আর এইভাবে আমিও একটা পরিবার গড়ে তুলতে পারি।”
4. এই বলে রাহেল তাঁর দাসী বিল্হার সংগে যাকোবের বিয়ে দিলেন, আর যাকোবও তার কাছে গেলেন।
5. এতে বিল্হা গর্ভবতী হল এবং তার একটি ছেলে হল।
6. তখন রাহেল বললেন, “ঈশ্বর আমার প্রতি সুবিচার করেছেন এবং আমার কান্না শুনে আমাকে একটি ছেলে দিয়েছেন।” এইজন্য তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন দান (যার মানে “সুবিচার”)।
7. পরে রাহেলের দাসী বিল্হা আবার গর্ভবতী হল, আর এই নিয়ে দুইবার সে যাকোবের ছেলের মা হল।
8. তখন রাহেল বললেন, “ঈশ্বরকে আমার পক্ষে রেখে আমি আমার বোনের সংগে পাল্লা দিয়েছি আর তাতে আমি জয়ী হয়েছি।” তাই তিনি ছেলেটির নাম দিলেন নপ্তালি (যার মানে “আমার পাল্লা”)।
9. এদিকে লেয়া যখন দেখলেন তাঁর নিজের আর সন্তান হচ্ছে না তখন তিনি তাঁর দাসী সিল্পার সংগে যাকোবের বিয়ে দিলেন।
10. তাতে লেয়ার দাসী সিল্পার গর্ভে যাকোবের একটি ছেলে হল।
11. তখন লেয়া বললেন, “কি সৌভাগ্য আমার!” এই বলে তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন গাদ (যার মানে “সৌভাগ্য”)।
12. পরে সিল্পা আর একবার যাকোবের ছেলের মা হল।
13. তখন লেয়া বললেন, “কি সুখ আমার! স্ত্রীলোকেরা সবাই আমাকে সুখী বলবে।” তাই তিনি ছেলেটির নাম দিলেন আশের (যার মানে “সুখী”)।
14. গম কাটবার সময় রূবেণ মাঠে গিয়ে কতগুলো দূদাফল পেল এবং সেগুলো এনে তার মা লেয়াকে দিল। তখন রাহেল লেয়াকে বললেন, “তোমার ছেলে যে দূদাফল এনেছে তা থেকে আমাকে কয়েকটা দাও।”
15. কিন্তু লেয়া তাঁকে বললেন, “তুমি আমার স্বামীকে দখল করে নিয়েছ, সেটা কি যথেষ্ট হয় নি? আবার তুমি আমার ছেলের আনা দূদাফলও নিতে চাও?”উত্তরে রাহেল বললেন, “তাহলে তোমার ছেলের আনা দূদাফলের বদলে আজ রাতে তিনি তোমার সংগে থাকবেন।”
16. সন্ধ্যাবেলা যাকোবকে মাঠ থেকে ফিরে আসতে দেখেই লেয়া বের হয়ে এসে তাঁকে বললেন, “আজ তুমি আমার সংগে থাকবে, কারণ আমার ছেলের আনা দূদাফল দিয়ে আমি তোমাকে কিনে নিয়েছি।” কাজেই সেই রাতে যাকোব লেয়ার ঘরে শুতে গেলেন।
17. ঈশ্বর লেয়ার প্রার্থনা শুনলেন আর তিনি গর্ভবতী হয়ে পঞ্চমবারের মত যাকোবের ছেলের মা হলেন।