6. পরে এষৌ শুনলেন যে, ইস্হাক যাকোবকে আশীর্বাদ করে পদ্দন-অরামের কোন মেয়েকে বিয়ে করবার জন্য সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও শুনলেন, ইস্হাক যাকোবকে আশীর্বাদ করবার সময় আদেশ দিয়ে বলেছিলেন যেন সে কোন কনানীয় মেয়েকে বিয়ে না করে।
7. এষৌ দেখলেন, যাকোব তাঁর মা-বাবার কথামত পদ্দন-অরামে চলে গেছেন।
8. এতে এষৌ বুঝলেন যে, তাঁর বাবা ইস্হাক কনানীয় স্ত্রীলোকদের উপর খুশী নন।
9. তাই দু’টি স্ত্রী থাকলেও তিনি অব্রাহামের ছেলে ইশ্মায়েলের বাড়ীতে গিয়ে তাঁর মেয়ে মহলত্কে বিয়ে করলেন। মহলৎ ছিল নবায়োতের বোন।
10. এদিকে যাকোব বের্-শেবা ছেড়ে হারণ শহরের দিকে যাত্রা করলেন।
11. পথে এক জায়গায় বেলা ডুবে গেলে পর তিনি সেখানেই রাতটা কাটালেন। সেখানে কতগুলো পাথর পড়ে ছিল। যাকোব সেগুলোর একটা মাথার নীচে দিয়ে শুয়ে পড়লেন।
12. তিনি স্বপ্নে দেখলেন মাটির উপরে একটা সিঁড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং তার মাথাটা গিয়ে স্বর্গে ঠেকেছে। তিনি দেখলেন ঈশ্বরের দূতেরা তার উপর দিয়ে ওঠা-নামা করছেন,
13. আর সদাপ্রভু তার উপরে দাঁড়িয়ে বলছেন, “আমি সদাপ্রভু। আমি তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহামের ঈশ্বর এবং ইস্হাকেরও ঈশ্বর। তুমি যেখানে শুয়ে আছ সেই দেশ আমি তোমাকে এবং তোমার বংশের লোকদের দেব।
14. তোমার বংশের লোকেরা পৃথিবীর ধূলিকণার মত অসংখ্য হবে। পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর-দক্ষিণে তোমার বংশ ছড়িয়ে পড়বে। পৃথিবীর সমস্ত জাতি তোমার ও তোমার বংশের মধ্য দিয়ে আশীর্বাদ পাবে।
15. আমি তোমার সংগে সংগে আছি; তুমি যেখানেই যাও না কেন আমি তোমাকে রক্ষা করব। এই দেশেই আবার আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব। আমি তোমাকে যা বলেছি তা পূর্ণ না করা পর্যন্ত আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না।”
16. পরে যাকোব ঘুম থেকে উঠে বললেন, “তাহলে সদাপ্রভু নিশ্চয়ই এই জায়গায় আছেন অথচ আমি তা বুঝতে পারি নি।”
17. এই কথা ভেবে তাঁর মনে ভয় হল। তিনি বললেন, “কি ভয়ংকর এই জায়গা! এটা ঈশ্বরের থাকবার জায়গা ছাড়া আর কিছু নয়; স্বর্গের দরজা এখানেই।”
18. যাকোব ভোরে উঠলেন এবং যে পাথরটা তিনি মাথার নীচে দিয়েছিলেন সেটা থামের মত করে দাঁড় করিয়ে তার উপরে তেল ঢেলে দিলেন।