22. যাকোব তাঁর বাবা ইস্হাকের আরও কাছে গেলেন। ইস্হাক তাঁর গায়ে হাত দিয়ে দেখে বললেন, “গলার স্বরটা যাকোবের বটে, কিন্তু হাত দু’টা তো এষৌর।”
23. যাকোবের হাত তাঁর ভাই এষৌর মতই লোমে ভরা ছিল বলে ইস্হাক তাঁকে চিনতে পারলেন না। যাহোক, তিনি তাঁকে আশীর্বাদ করবার জন্য তৈরী হলেন।
24. তবুও তিনি তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি সত্যিই আমার ছেলে এষৌ?”যাকোব বললেন, “হ্যাঁ, বাবা।”
25. ইস্হাক বললেন, “তাহলে তোমার শিকার-করা মাংসের কিছুটা আমার কাছে নিয়ে এস, যাতে আমি তা খেয়ে তোমাকে আশীর্বাদ করে যেতে পারি।”তখন যাকোব ইস্হাকের কাছে খাবার নিয়ে গেলেন, আর ইস্হাক তা থেকে খেলেন। এর পর যাকোব তাঁকে আংগুর-রস দিলেন আর ইস্হাক তা খেলেন।
26. তারপর তাঁর বাবা ইস্হাক তাঁকে বললেন, “বাবা, কাছে এসে তুমি আমাকে চুম্বন কর।”
27. তখন যাকোব কাছে গিয়ে তাঁকে চুম্বন করলেন, আর ইস্হাক তাঁর গায়ের কাপড়ের গন্ধ পেয়ে তাঁকে এই বলে আশীর্বাদ করলেন:“এই তো আমার ছেলের গন্ধ,সদাপ্রভুর আশীর্বাদ-করা জমির মতই এই গন্ধ।
28. ঈশ্বর যেন তোমাকে আকাশের শিশির দেন,আর তোমার জমিতে উর্বরতা দেন;তাতে তুমি প্রচুর ফসল আর নতুন আংগুর-রস পাবে।
29. বিভিন্ন জাতি তোমার সেবা করুক,আর সব লোক তোমাকে প্রণাম করুক।তোমার গোষ্ঠীর লোকদের তুমি মনিব হও,তারা তোমাকে প্রণাম করুক।যারা তোমাকে অভিশাপ দেবেতাদের উপর অভিশাপ পড়ুক;যারা তোমাকে আশীর্বাদ করবেতাদের উপরে আশীর্বাদ নেমে আসুক।”
30. ইস্হাক যাকোবকে আশীর্বাদ করা শেষ করলেন। যাকোব তাঁর বাবা ইস্হাকের সামনে থেকে যেতে না যেতেই তাঁর ভাই এষৌ শিকার করে ঘরে ফিরে আসলেন।
31. তিনিও ভাল খাবার তৈরী করে তাঁর বাবার কাছে এনে বললেন, “বাবা, উঠে বসে তোমার ছেলের শিকার করে আনা মাংস খেয়ে আমাকে আশীর্বাদ কর।”