8. একটি সুন্দর ও সুখী জীবন কাটিয়ে অনেক বয়সে তিনি মারা গিয়ে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন।
9. মম্রি শহরের পূর্ব দিকে হিত্তীয় সোহরের ছেলে ইফ্রোণের জমিতে মক্পেলার গুহায় তাঁর ছেলে ইস্হাক ও ইশ্মায়েল তাঁকে কবর দিলেন।
10. এই জমিটাই তিনি হিত্তীয়দের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। এখানেই তাঁর স্ত্রী সারাকে এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল।
11. অব্রাহামের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইস্হাককে ঈশ্বর আশীর্বাদ করলেন। ইস্হাক বের্-লহয়-রোয়ীর কাছে বাস করতে থাকলেন।
12. সারার দাসী মিসরীয় হাগারের গর্ভে অব্রাহামের ছেলে ইশ্মায়েলের জন্ম হয়েছিল।
13. এই হল ইশ্মায়েলের বংশের কথা: জন্ম অনুসারে তাঁর ছেলেদের নাম হল, প্রথমে নবায়োৎ, তারপর কেদর, অদ্বেল, মিব্সম,
14. মিশ্ম, দূমা, মসা,
15. হদদ, তেমা, যিটূর, নাফীশ ও কেদমা।
16. ইশ্মায়েলের এই বারোজন ছেলেই ছিলেন বারো গোষ্ঠীর সর্দার। তাঁদের নাম অনুসারেই তাঁদের গ্রাম এবং গ্রামের বাইরে তাম্বু-ফেলা জায়গাগুলোর নাম রাখা হয়েছিল।
17. ইশ্মায়েল মোট একশো সাঁইত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। তারপর তিনি মারা গিয়ে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন।
18. হবীলা থেকে শূর পর্যন্ত যে জায়গাটা ছিল তাঁর বংশের লোকেরা সেখানে বাস করত। জায়গাটা ছিল মিসরের কাছে, আসিরিয়া যাবার পথে। তাদের ভাই ইস্হাকের বংশধরদের দেশের কাছে তারা বাস করত।
19. এই হল অব্রাহামের ছেলে ইস্হাকের জীবনের ইতিহাস। অব্রাহামের ছেলে ইস্হাক।
20. ইস্হাক চল্লিশ বছর বয়সে রিবিকাকে বিয়ে করেছিলেন। রিবিকা ছিলেন পদ্দন-অরাম দেশের অরামীয় বথূয়েলের মেয়ে এবং অরামীয় লাবনের বোন।
21. ইস্হাকের স্ত্রী বন্ধ্যা ছিলেন বলে ইস্হাক তাঁর জন্য সদাপ্রভুর কাছে ভিক্ষা চাইলেন। সদাপ্রভু তা মঞ্জুর করলেন এবং রিবিকা গর্ভবতী হলেন।
22. তাঁর গর্ভের মধ্যে যমজ সন্তান ছিল এবং তারা একে অন্যের সংগে ঠেলাঠেলি করতে লাগল। সেইজন্য রিবিকা বললেন, “আমার এই রকম হচ্ছে কেন?” এই বলে ব্যাপারটা কি, তা জানবার জন্য তিনি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে গেলেন।
23. সদাপ্রভু তাঁকে বললেন,“তোমার গর্ভে দু’টি ভিন্ন জাতির শুরু হয়েছে,জন্ম থেকেই তারা দু’টি ভিন্ন বংশ হবে।একটির চেয়ে আর একটির শক্তি বেশী হবে,বড়টি তার ছোটটির দাস হবে।”
24. সন্তান প্রসবের সময় দেখা গেল সত্যিই তাঁর গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে।
25. প্রথমে যে ছেলেটির জন্ম হল তার গায়ের রং ছিল লাল এবং তার গা পশমের জামার মত লোমে ঢাকা। এইজন্য তার নাম রাখা হল এষৌ (যার মানে “লোমশ”)।
26. তারপর এষৌর পায়ের গোড়ালি-ধরা অবস্থায় তার ভাইয়ের জন্ম হল। এইজন্য তার নাম রাখা হল যাকোব (যার মানে “গোড়ালি-ধরা”)। ইস্হাকের ষাট বছর বয়সে তাঁর স্ত্রীর গর্ভে এদের জন্ম হয়েছিল।