39. তখন আমি আমার মনিবকে বললাম, ‘কিন্তু মেয়েটি যদি আমার সংগে আসতে না চায়? ’
40. “তিনি আমাকে বললেন, ‘সদাপ্রভু, যাঁকে আমি মেনে চলি, তিনিই তাঁর দূতকে তোমার সংগে পাঠিয়ে দেবেন যাতে তোমার যাত্রা সফল হয়। এতে তুমি আমার বাবার বাড়ীতে গিয়ে আমার নিজের লোকদের মধ্য থেকে একটি মেয়েকে আমার ছেলের জন্য বেছে নিতে পারবে।
41. তাঁদের কাছে গেলে পর যদি তাঁরা কোন মেয়েকে না দেন তবে তুমি আমার এই দিব্য থেকে মুক্ত হবে।’
42. “সেইজন্য আমি আজ ঐ কূয়াটার কাছে এসে মনে মনে প্রার্থনা করে বললাম, ‘হে সদাপ্রভু, আমার মনিব অব্রাহামের ঈশ্বর, দয়া করে তুমি আমার এই যাত্রা সফল কর।
43. দেখ, আমি এই কূয়ার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। শহর থেকে যদি কোন মেয়ে বের হয়ে জল তুলতে আসে তবে আমি তাকে বলব যেন সে তার কলসী থেকে আমাকে একটু জল খেতে দেয়।
44. তাতে যদি সে আমাকে বলে যে, সে আমাকে জল খাওয়াবে আর আমার উটগুলোর জন্যও জল তুলে দেবে, তবে সে-ই যেন আমার মনিবের ছেলের জন্য তোমার বেছে রাখা মেয়ে হয়।’
45. “আমার প্রার্থনা শেষ হওয়ার আগেই রিবিকা কলসী কাঁধে কূয়ায় এসে জল তুলতে লাগলেন। আমি তাঁকে বললাম, ‘দয়া করে আমাকে একটু জল খেতে দিন।’
46. “তিনি তাড়াতাড়ি করে কাঁধ থেকে কলসীটা নামিয়ে বললেন, ‘এই নিন, জল খান। আমি আপনার উটগুলোকেও জল খাওয়াব।’ তখন আমি জল খেলাম আর তিনি আমার উটগুলোকেও জল খাওয়ালেন।
47. “তারপর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি কার মেয়ে? ’“তিনি বললেন, ‘আমি নাহোর ও মিল্কার ছেলে বথূয়েলের মেয়ে।’“এই কথা শুনে আমি তাঁর নাকে নথ ও দুই হাতে বালা পরিয়ে দিলাম।
48. তারপর আমি মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সদাপ্রভুকে আমার অন্তরের ভক্তি জানালাম। আমি আমার মনিব অব্রাহামের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ দিলাম, কারণ তিনিই আমাকে ঠিক পথে চালিয়ে এনেছেন যাতে আমি আমার মনিবের ভাইয়ের ছেলের মেয়েকে তাঁর ছেলের জন্য নিয়ে যেতে পারি।
49. এখন আপনারা আমার মনিবের প্রতি বিশ্বস্তভাবে কর্তব্য করবেন কি না তা আমাকে বলুন। যদি তা না করেন তবে আমাকে তা-ও জানিয়ে দিন যাতে আমি অন্য কোথাও যেতে পারি।”
50. তখন লাবন ও বথূয়েল বললেন, “ব্যাপারটা তবে সদাপ্রভু থেকেই হয়েছে। কাজেই এতে আপনাকে আমাদের হ্যাঁ বা না বলবার কিছুই নেই।
51. রিবিকা তো এখানেই রয়েছে; ওকে আপনি নিয়ে যান। সদাপ্রভুর কথামতই আপনার মনিবের ছেলের সংগে তার বিয়ে হোক।”
52. অব্রাহামের দাস এই কথা শুনে মাটিতে উবুড় হয়ে সদাপ্রভুকে তার অন্তরের ভক্তি জানাল।