14. তখন অব্রাহাম খুব ভোরে উঠে কিছু খাবার আর জলে ভরা একটা চামড়ার থলি হাগারের কাঁধে তুলে দিলেন। তারপর ছেলেটিকে তার হাতে দিয়ে তাকে বিদায় করে দিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে হাগার বের্-শেবার মরু-এলাকায় ঘুরে বেড়াতে লাগল।
15. থলির জল যখন ফুরিয়ে গেল তখন সে ছেলেটিকে একটা ঝোপের তলায় শুইয়ে রাখল।
16. তারপর একটা তীর ছুঁড়লে যতদূর যায় আন্দাজ ততটা দূরে গিয়ে সে বসে রইল। “ছেলেটির মৃত্যু যেন আমাকে দেখতে না হয়,” মনে মনে এই কথা বলে সেখানে বসেই সে জোরে জোরে কাঁদতে লাগল।
17. ছেলেটির কান্না কিন্তু ঈশ্বরের কানে গিয়ে পৌঁছাল। তখন ঈশ্বরের দূত স্বর্গ থেকে হাগারকে ডেকে বললেন, “হাগার, তোমার কি হয়েছে? ভয় কোরো না, কারণ ছেলেটি যেখানে আছে সেখান থেকেই তার কান্না ঈশ্বরের কানে গিয়ে পৌঁছেছে।
18. তুমি উঠে ছেলেটিকে তুলে শান্ত কর, কারণ আমি তার মধ্য দিয়ে একটা মহাজাতি গড়ে তুলব।”
19. তারপর ঈশ্বর হাগারের চোখ খুলে দিলেন, তাতে সে একটা জলে ভরা কূয়া দেখতে পেল। সেই কূয়ার কাছে গিয়ে সে তার চামড়ার থলিটা ভরে নিয়ে ছেলেটিকে জল খাওয়াল।