22. কিন্তু তাড়াতাড়ি করে সেখানে পালিয়ে যাও। তুমি সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমি কিছুই করতে পারছি না।” লোটের কথার জন্যই সেই গ্রামটার নাম হল সোয়র (যার মানে “ছোট”)।
23. লোট যখন সোয়রে গিয়ে পৌঁছালেন তখন সূর্য উঠে গেছে।
24. তার পরেই সদাপ্রভু স্বর্গের সদাপ্রভুর কাছ থেকে সদোম ও ঘমোরার উপর গন্ধক ও আগুনের বৃষ্টি শুরু করলেন।
25. তিনি সেই শহর দু’টি, সমস্ত সমভূমিটা, শহরের সমস্ত লোক এবং সেখানকার জমির উপর জন্মেছে এমন সব কিছু ধ্বংস করে দিলেন।
26. লোটের স্ত্রী লোটের পিছনে পড়ে পিছন দিকে ফিরে তাকালেন, আর তাতে তিনি লবণের একটা থাম হয়ে গেলেন।
27. পরের দিন অব্রাহাম খুব ভোরে উঠে সেই জায়গায় গেলেন যেখানে আগের দিন তিনি সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
28. তিনি নীচে সদোম, ঘমোরা এবং সমস্ত সমভূমিটার দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, প্রকাণ্ড চুল্লী থেকে যেমন ধূমা ওঠে তেমনি সেই সব এলাকা থেকে ধূমা উঠছে।
29. এইভাবে লোট যেখানে বাস করতেন ঈশ্বর সেই সমভূমির শহরগুলো ধ্বংস করবার সময় অব্রাহামের কথা ভেবে লোটকে ঐখানকার বিপদের মাঝখান থেকে সরিয়ে এনেছিলেন।
30. সোয়রে থাকতে সাহস হল না বলে লোট তাঁর মেয়ে দু’টিকে নিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে পাহাড়ী এলাকায় চলে গেলেন। সেখানে একটা গুহায় তাঁরা থাকতে লাগলেন।
31. পরে একদিন বড় মেয়েটি ছোট মেয়েটিকে বলল, “বাবা তো বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন। এই এলাকায় এমন কোন পুরুষ লোক নেই যিনি এসে জগতের নিয়ম মত আমাদের বিয়ে করতে পারেন।