13. আমি আবার বলছি, যে দাস তোমার বাড়ীতে জন্মেছে কিম্বা যাকে টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে সুন্নত করাতেই হবে। এটাই হবে তোমাদের দেহে আমার চিরকালের ব্যবস্থার চিহ্ন।
14. যে লোকের পুরুষাংগের সামনের চামড়া কাটা নয় তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলা হবে, কারণ সে আমার ব্যবস্থা অমান্য করেছে।”
15. ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, “তোমার স্ত্রী সারীকে আর সারী বলে ডাকবে না। তার নাম হবে সারা।
16. আমি তাকে আশীর্বাদ করে তারই মধ্য দিয়ে তোমাকে একটা পুত্রসন্তান দেব। আমি তাকে আরও আশীর্বাদ করব যাতে সে অনেক জাতির এবং তাদের রাজাদের আদিমাতা হয়।”
17. এই কথা শুনে অব্রাহাম মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন এবং হেসে মনে মনে বললেন, “তাহলে সত্যিই একশো বছরের বুড়োর সন্তান হবে, আর তা হবে নব্বই বছরের স্ত্রীর গর্ভে!”
18. পরে অব্রাহাম ঈশ্বরকে বললেন, “আহা, ইশ্মায়েলই যেন তোমার দয়ায় বেঁচে থাকে!”
19. তখন ঈশ্বর বললেন, “তোমার স্ত্রী সারার সত্যিই ছেলে হবে, আর তুমি তার নাম রাখবে ইস্হাক (যার মানে ‘হাসা’)। তার ও তার বংশের লোকদের জন্য আমি আমার চিরকালের ব্যবস্থা চালু রাখব। তবে ইশ্মায়েল সম্বন্ধে তুমি যা বললে তা আমি শুনলাম।
20. শোন, আমি তাকেও আশীর্বাদ করব এবং অনেক সন্তান দিয়ে তার বংশের লোকদের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেব। সে-ও বারোজন গোষ্ঠী-নেতার আদিপিতা হবে এবং তার মধ্য থেকে আমি একটা মহাজাতি গড়ে তুলব।
21. কিন্তু ইস্হাকের জন্যই আমি আমার ব্যবস্থা চালু রাখব। সামনের বছর এই সময়ে সে সারার কোলে আসবে।”
22. অব্রাহামের সংগে কথা বলা শেষ করে ঈশ্বর তাঁর কাছ থেকে উপরের দিকে উঠে গেলেন।
23. ঈশ্বরের কথামত অব্রাহাম সেই দিনই ইশ্মায়েলের সুন্নত করালেন। সেই সংগে তিনি তাঁর কেনা কিম্বা ঘরে জন্মেছে এমন সব দাসদের, অর্থাৎ তাঁর বাড়ীর প্রত্যেকটি পুরুষের সুন্নত করালেন।
24. অব্রাহামের নিজের যখন সুন্নত করানো হল তখন তাঁর বয়স ছিল নিরানব্বই বছর,