1. অব্রামের স্ত্রী সারীর তখনও কোন ছেলেমেয়ে হয় নি। হাগার নামে তাঁর একজন মিসরীয় দাসী ছিল।
2. একদিন সারী অব্রামকে বললেন, “দেখ, সদাপ্রভু আমাকে বন্ধ্যা করেছেন। সেইজন্য তুমি আমার দাসীর কাছে যাও। হয়তো তার মধ্য দিয়ে আমি সন্তান লাভ করব।”অব্রাম সারীর কথায় রাজী হলেন।
3. তাই কনান দেশে অব্রামের দশ বছর কেটে যাওয়ার পর সারী তাঁর মিসরীয় দাসী হাগারের সংগে অব্রামের বিয়ে দিলেন।
4. অব্রাম হাগারের কাছে গেলে পর সে গর্ভবতী হল। যখন হাগার বুঝতে পারল যে, সে গর্ভবতী হয়েছে তখন সে তার মনিবের স্ত্রীকে তুচ্ছ করতে লাগল।
5. এতে সারী অব্রামকে বললেন, “আমার প্রতি তার এই অন্যায়ের জন্য আসলে তুমিই দায়ী। আমার এই দাসীকে আমি তোমার বিছানায় তুলে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন গর্ভবতী হয়েছে জেনে সে আমাকে তুচ্ছ করতে শুরু করেছে। তাহলে তোমার ও আমার মধ্যে কে দোষী তা এখন সদাপ্রভুই বিচার করুন।”
6. উত্তরে অব্রাম সারীকে বললেন, “দেখ, তোমার দাসী তো তোমার হাতেই আছে। তোমার যা ভাল মনে হয় তার প্রতি তুমি তা-ই কর।” তখন সারী হাগারের প্রতি এমন নিষ্ঠুর ব্যবহার করতে লাগলেন যে, হাগার তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
7. পথে মরু-এলাকার মধ্যে একটা জলের ফোয়ারার কাছে সদাপ্রভুর দূত হাগারকে দেখতে পেলেন। ফোয়ারাটা ছিল শূর নামে একটা জায়গায় যাবার পথে।
8. স্বর্গদূত বললেন, “সারীর দাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে আসছ আর কোথায়ই বা যাচ্ছ?”উত্তরে হাগার বলল, “আমি আমার মনিবের স্ত্রী সারীর কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি।”
9. তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “তোমার মনিবের স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে আবার তার অধীনতা স্বীকার করে নাও।”
10. তিনি তাকে আরও বললেন, “আমি তোমার বংশের লোকদের সংখ্যা এমন বাড়িয়ে তুলব যে, তাদের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না।”