4. তখন সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, “না, অধিকারী সে হবে না। তোমার নিজের সন্তানই তোমার সম্পত্তির অধিকারী হবে।”
5. পরে সদাপ্রভু অব্রামকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বললেন, “আকাশের দিকে তাকাও এবং যদি পার ঐ তারাগুলো গুণে শেষ কর। তোমার বংশের লোকেরা ঐ তারার মতই অসংখ্য হবে।”
6. অব্রাম সদাপ্রভুর কথা বিশ্বাস করলেন আর সদাপ্রভু সেইজন্য তাঁকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করলেন।
7. সদাপ্রভু অব্রামকে বললেন, “আমি সদাপ্রভু। এই দেশের অধিকারী হবার জন্য আমিই তোমাকে কল্দীয়দের ঊর শহর থেকে বের করে এনেছি।”
8. তখন অব্রাম বললেন, “হে সদাপ্রভু, আমার প্রভু, আমি কি করে জানব যে, এই দেশটা আমার অধিকারে আসবে?”
9. উত্তরে সদাপ্রভু বললেন, “তুমি আমার কাছে একটা বক্না বাছুর, একটা ছাগী আর একটা পুরুষ ভেড়া নিয়ে এস। সেগুলোর প্রত্যেকটার বয়স যেন তিন বছর হয়। সেই সংগে একটা ঘুঘু আর একটা কবুতরের বাচ্চাও নিয়ে এস।”
10. অব্রাম তা-ই করলেন। তিনি সেগুলো এনে সমান দু’টুকরা করে প্রত্যেকটা টুকরা তার অন্য টুকরার উল্টাদিকে সাজিয়ে রাখলেন, কিন্তু পাখীগুলো তিনি টুকরা করলেন না।
11. তখন শকুন এসে মরা পশুগুলোর উপর পড়ল, কিন্তু অব্রাম সেগুলো তাড়িয়ে দিলেন।
12. যখন সূর্য ডুবে যাচ্ছিল তখন অব্রাম ঘুমিয়ে পড়লেন। গভীর ঘুমের মধ্যে একটা ভয়ংকর অন্ধকার তাঁর উপর নেমে আসল।
13. তখন সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তুমি এই কথা নিশ্চয় করে জেনো, তোমার বংশের লোকেরা এমন একটা দেশে গিয়ে বাস করবে যা তাদের নিজেদের নয়। সেখানে তারা অন্যদের দাস হয়ে চারশো বছর পর্যন্ত অত্যাচার ভোগ করবে।
14. কিন্তু যে জাতি তাদের দাস করে রাখবে সেই জাতিকে আমি শাস্তি দেব। পরে তারা অনেক ধন-দৌলৎ নিয়ে সেই দেশ থেকে বের হয়ে আসবে।
15. তবে তার আগেই তুমি অনেক বয়সে শান্তিতে মারা গিয়ে কবর পাবে এবং তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে।
16. কিন্তু তোমার বংশের চতুর্থ পুরুষের লোকেরা এখানে ফিরে আসবে, কারণ পাপ করতে করতে ইমোরীয়েরা এখনও এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছায় নি যার জন্য আমাকে তাদের শাস্তি দিতে হবে।”
17. সূর্য ডুবে গিয়ে যখন একেবারে অন্ধকার হয়ে গেল তখন ধূমায় ভরা একটা জ্বলন্ত চুলা এবং একটা জ্বলন্ত মশাল দেখা দিল। সেগুলো সেই সাজিয়ে রাখা পশুর টুকরাগুলোর মধ্য দিয়ে চলে গেল।
18. সদাপ্রভু সেই দিনই অব্রামের জন্য এই বলে একটা ব্যবস্থা স্থাপন করলেন, “মিসরের নদী থেকে আরম্ভ করে মহানদী ইউফ্রেটিস পর্যন্ত সমস্ত দেশটা আমি তোমার বংশকে দিলাম।
19. এর মধ্যে থাকবে কেনীয়, কনিষীয়, কদ্মোনীয়,
20. হিত্তীয়, পরিষীয়, রফায়ীয়,
21. ইমোরীয়, কনানীয়, গির্গাশীয় ও যিবূষীয়দের দেশ।”