8. তারপর সেখান থেকে তিনি বৈথেল শহরের পূর্ব দিকের পাহাড়ী এলাকায় এগিয়ে গেলেন এবং পশ্চিমে বৈথেল আর পূর্বে অয় শহরের মাঝামাঝি এক জায়গায় তাঁর তাম্বু ফেললেন। সদাপ্রভুর উদ্দেশে সেখানেও তিনি একটা বেদী তৈরী করলেন এবং সদাপ্রভুকে তাঁর যোগ্য সম্মান দিলেন।
9. পরে তিনি সেখান থেকে সরতে সরতে নেগেভ নামে দক্ষিণের মরু-এলাকার দিকে চলে গেলেন।
10. পরে কনান দেশে এক দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। সেই দুর্ভিক্ষ এত ভীষণ হয়ে উঠল যে, অব্রাম কিছুকালের জন্য মিসর দেশে বাস করতে গেলেন।
11. মিসর দেশের কাছাকাছি এসে অব্রাম তাঁর স্ত্রী সারীকে বললেন, “শোন, আমি জানি তুমি খুব সুন্দরী।
12. তুমি যখন মিসরীয়দের চোখে পড়বে তখন তারা ভাববে তুমি আমার স্ত্রী। আর এই ভেবে তারা তোমাকে রেখে আমাকে মেরে ফেলবে।
13. সেইজন্য তুমি তাদের বোলো যে, তুমি আমার বোন। তাতে তোমার দরুন তারা আমার সংগে ভাল ব্যবহার করবে এবং আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।”
14. অব্রাম যখন মিসরে গেলেন তখন মিসরীয়েরা দেখল সারী খুব সুন্দরী।
15. ফরৌণের, অর্থাৎ রাজার দরবারের লোকেরাও তাঁকে দেখে ফরৌণের কাছে তাঁর প্রশংসা করে অনেক কথা বলল। ফলে সারীকে রাজবাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হল।
16. আর সারীর দরুন ফরৌণ অব্রামের সংগে ভাল ব্যবহার করতে লাগলেন। তিনি অব্রামকে অনেক ভেড়া, গরু, গাধা, গাধী, উট এবং দাস-দাসী দিলেন।
17. কিন্তু অব্রামের স্ত্রী সারীর দরুন সদাপ্রভু ফরৌণ ও তাঁর বাড়ীর সমস্ত লোকদের মধ্যে নানা রকমের ভীষণ অসুখের সৃষ্টি করলেন।