1. এই হল নোহের ছেলে শেম, হাম আর যেফতের বংশের কথা। বন্যার পরে তাঁদেরও ছেলে হয়েছিল।
2. যেফতের ছেলেরা হল গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।
3. গোমরের ছেলেরা হল অস্কিনস, রীফৎ ও তোগর্ম।
4. যবনের ছেলেরা হল ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম ও দোদানীম।
5. এদের বংশের লোকেরাই শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষা, পরিবার ও জাতি অনুসারে সাগর পারের ভিন্ন ভিন্ন দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
6. হামের ছেলেরা হল কূশ, মিসর, পূট ও কনান।
7. কূশের ছেলেরা হল সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলেরা হল শিবা ও দদান।
8. কূশের একটি ছেলে হয়েছিল যাঁর নাম ছিল নিম্রোদ। এই নিম্রোদ পৃথিবীতে একজন ক্ষমতাশালী পুরুষ হয়ে উঠেছিলেন।
9. সদাপ্রভুর চোখে তিনি ছিলেন একজন বেপরোয়া শিকারী। সেইজন্য কথায় বলে, “লোকটা যেন সদাপ্রভুর চোখে একজন বেপরোয়া শিকারী নিম্রোদ।”
10. শিনিয়র দেশের বাবিল, এরক, অক্কদ ও কল্নী নামে জায়গাগুলো নিয়ে তিনি রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
11-12. তিনি সেখান থেকে বের হয়ে তাঁর রাজ্য বাড়াতে বাড়াতে আসিরিয়া দেশ পর্যন্ত গেলেন। সেখানকার নীনবী, রহোবোৎ-পুরী, কেলহ ও রেষণ নামে শহরগুলো তাঁরই তৈরী। এর মধ্যে রেষণ ছিল নীনবী ও কেলহের মাঝামাঝি জায়গায়। এগুলো একসংগে মিলে একটা বড় শহরের সৃষ্টি হয়েছিল।
13-14. লূদীয়, অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়, পথ্রোষীয়, কস্লূহীয় ও ক্রীটীয়েরা ছিল মিসরের বংশের লোক। কস্লূহীয়েরা ছিল পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ।
15. কনানের বড় ছেলের নাম ছিল সীদোন। তার পরে হেতের জন্ম হয়েছিল।