29. সেই রক্ত যোয়াবের ও তার সমস্ত পিতৃকুলের উপরে বর্তুক এবং যোয়াবের কুলে প্রমেহী কিংবা কুষ্ঠী কিংবা লাঠি ভর দিয়ে চলা কিংবা তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়া কিংবা খাবারের অভাবে কষ্ট পাওয়া লোকের অভাব না হোক।
30. এভাবে যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অব্নেরকে হত্যা করলেন, কেননা তিনি গিবিয়োনে যুদ্ধের সময়ে তাঁদের ভাই অসাহেলকে হত্যা করেছিলেন।
31. পরে দাউদ যোয়াব ও তাঁর সমস্ত সঙ্গী লোককে বললেন, তোমরা নিজ নিজ কাপড় ছিঁড়ে চট পর এবং শোক করতে করতে অব্নেরের আগে আগে চল। আর বাদশাহ্ দাউদও শবাধারের পেছন পেছন চললেন।
32. আর হেবরনে অব্নেরকে কবর দেওয়া হল; তখন বাদশাহ্ অব্নেরের কবরের কাছে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন, সমস্ত লোকও কাঁদতে লাগল।
33. বাদশাহ্ অব্নেরের বিষয়ে মাতম করে বললেন,যেমন মূঢ় মরে, তেমনি কি মরলেন অব্নের?
34. তোমার হাত ছিল না বাঁধা, চরণও ছিল না শেকলে আবদ্ধ;যেমন কেউ অন্যায়কারীদের সম্মুখে পড়ে,তেমনি পড়লে তুমি!তখন সমস্ত লোক তাঁর বিষয়ে আবার কাঁদতে লাগল।
35. পরে কিছু বেলা থাকতে সমস্ত লোক দাউদকে আহার করাতে এল, কিন্তু দাউদ এই শপথ করলেন, আল্লাহ্ আমাকে অমুক ও তার চেয়েও বেশি দণ্ড দিন, যদি সূর্য অস্তগত না হলে আমি রুটি কিংবা অন্য কোন দ্রব্যের আস্বাদ গ্রহণ করি।
36. তখন সমস্ত লোক তা লক্ষ্য করলো ও সন্তুষ্ট হল; বাদশাহ্ যা কিছু করলেন, তাতেই সকল লোক সন্তুষ্ট হল।
37. দাউদের সমস্ত লোক ও সমস্ত ইসরাইল সেদিন জানতে পারলো যে, নেরের পুত্র অব্নেরের হত্যাকাণ্ডে বাদশাহ্র কোন হাত ছিল না।
38. আর বাদশাহ্ তাঁর গোলামদের বললেন, তোমরা কি জান না যে, আজ ইসরাইলের মধ্যে প্রধান ও মহান এক জন মারা পড়লেন?
39. আর বাদশাহ্র পদে অভিষিক্ত হলেও আজ আমি দুর্বল; এই কয়টা লোক, সরূয়ার পুত্রেরা, আমার অবাধ্য। মাবুদ দুষ্কর্মকারীকে তার দুষ্টতা অনুসারে প্রতিফল দিন।