26. কিন্তু যদি তিনি এই কথা বলেন, তোমাতে আমার সন্তোষ নেই, তবে দেখ, এই আমি, তাঁর দৃষ্টিতে যা ভাল, আমার প্রতি তা-ই করুন।
27. বাদশাহ্ ইমাম সাদোকে আরও বললেন, তুমি কি দর্শক নও? তুমি সহিসালামতে নগরে ফিরে যাও এবং তোমার পুত্র অহীমাস ও অবিয়াথরের পুত্র যোনাথন, তোমাদের এই দুই পুত্র তোমাদের সঙ্গে যাক।
28. দেখ, যতদিন তোমাদের কাছ থেকে আমার কাছে সঠিক সংবাদ না আসে, ততদিন আমি মরুভূমির পারঘাটায় থেকে বিলম্ব করবো।
29. অতএব সাদোক ও অবিয়াথর আল্লাহ্র সিন্দুক পুনরায় জেরুশালেমে নিয়ে গিয়ে সেই স্থানে রইলেন।
30. পরে দাউদ জৈতুন পর্বতের পাহাড়ী পথ বেয়ে উঠতে লাগলেন; তিনি উঠবার সময়ে কাঁদতে কাঁদতে চললেন; তাঁর মুখ ঢাকা ছিল ও খালি পায়ে হাঁটছিলেন এবং তাঁর সঙ্গী লোকেরা প্রত্যেকে নিজ নিজ মুখ ঢেকে রেখেছিল এবং উঠবার সময়ে কাঁদতে কাঁদতে চললো।
31. পরে কেউ দাউদকে বললো, অবশালোমের সঙ্গে চক্রান্তকারীদের মধ্যে অহীথোফলও আছে; তখন দাউদ বললেন, হে মাবুদ, অনুগ্রহ করে অহীথোফলের মন্ত্রণাকে মূর্খতায় পরিণত কর।
32. পরে যে স্থানে লোকেরা আল্লাহ্র উদ্দেশে সেজ্দা করতো, দাউদ পর্বতের সেই শিখরে উপস্থিত হলে দেখ, অর্কীয় হূশয় ছেড়া পোশাক পরে ও মাথায় ধুলা ছিটিয়ে দাউদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলেন।
33. দাউদ তাঁকে বললেন, তুমি যদি আমার সঙ্গে অগ্রসর হও তবে আমাকে ভারগ্রস্ত করবে।
34. কিন্তু যদি নগরে ফিরে গিয়ে অবশালোমকে বল, হে বাদশাহ্, আমি আপনার গোলাম হব, ইতোপূর্বে যেমন আপনার পিতার গোলাম ছিলাম তেমনি এখন আপনার গোলাম হব, তা হলে তুমি আমার জন্য অহীথোফলের মন্ত্রণা ব্যর্থ করতে পারবে।
35. সেই স্থানে সাদোক ও অবিয়াথর, এই দুই ইমাম কি তোমার সঙ্গে থাকবেন না? অতএব তুমি রাজপ্রাসাদের যে কোন কথা শুনবে তা সাদোক ও অবিয়াথর ইমামকে বলবে।
36. দেখ, সেই স্থানে তাঁদের সঙ্গে তাঁদের দুই পুত্র, সাদোকের পুত্র অহীমাস ও অবিয়াথরের পুত্র যোনাথন আছে; তোমরা যে কোন কথা শুনবে, তাদের দ্বারা আমার কাছে তার সংবাদ পাঠিয়ে দেবে।
37. অতএব দাউদের বন্ধু হূশয় নগরে গেলেন; আর অবশালোম জেরুশালেমে প্রবেশ করলেন।