24. পরে বাদশাহ্ বললেন, সে ফিরে তার নিজের বাড়িতে যাক, সে আমার মুখ না দেখুক। তাতে অবশালোম তার বাড়িতে ফিরে গেল, বাদশাহ্র মুখ দেখতে পেল না।
25. সমস্ত ইসরাইলের মধ্যে অবশালোমের মত এত সুন্দর আর কেউ ছিল না; সে আপদমস্তক নিখুঁত ও সুন্দর ছিল।
26. আর তার মাথার চুল ভারী বোধ হলে সে তা কেটে ফেলত; বছরের শেষে সে তা কেটে ফেলত; মাথা মুণ্ডন করার সময়ে মাথার চুল ওজন করা হত; তাতে রাজপরিমাণ অনুসারে তা দুই শত শেকল পরিমিত হত।
27. অবশালোমের তিনটি পুত্র ও একটি কন্যা জন্মেছিল, কন্যাটির নাম তামর; সে দেখতে সুন্দরী ছিল।
28. আর অবশালোম সম্পূর্ণ দু’বছর জেরুশালেমে বাস করলো, কিন্তু বাদশাহ্র মুখ দেখতে পেল না।
29. পরে অবশালোম বাদশাহ্র কাছে পাঠাবার জন্য যোয়াবকে ডেকে পাঠাল, কিন্তু তিনি তার কাছে আসতে সম্মত হলেন না; পরে দ্বিতীয়বার লোক পাঠাল, তখনও তিনি আসতে সম্মত হলেন না।
30. অতএব সে তার গোলামদেরকে বললো, দেখ, আমার ক্ষেতের পাশে যোয়াবের ক্ষেত আছে, সেই স্থানে তার যে যব আছে, তোমরা গিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দাও। তাতে অবশালোমের গোলামেরা সেই ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিল।
31. তখন যোয়াব উঠে অবশালোমের কাছে তার বাড়িতে এসে তাকে বললেন, তোমার গোলামেরা আমার ক্ষেতে কেন আগুন দিয়েছে?
32. অবশালোম যোয়াবকে বললো, দেখ, আমি তোমার কাছে লোক পাঠিয়ে এখানে আসতে বলেছিলাম, ফলত বাদশাহ্র কাছে এই কথা নিবেদন করার জন্য তোমাকে পাঠাব বলে যে, আমি গশূর থেকে কেন এলাম? সেই স্থানে থাকলে আমার আরও ভাল হত। এখন আমাকে বাদশাহ্র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিন, আর যদি আমার অপরাধ থাকে, তবে তিনি আমাকে হত্যা করুন।
33. পরে যোয়াব বাদশাহ্র কাছে গিয়ে তাঁকে সেই কথা জানালে বাদশাহ্ অবশালোমকে ডেকে পাঠালেন; তাতে সে বাদশাহ্র কাছে গিয়ে বাদশাহ্র সম্মুখে ভূমিতে উবুড় হয়ে পড়ে সালাম করলো, আর বাদশাহ্ অবশালোমকে চুম্বন করলেন।