10. তখন অম্নোন তামরকে বললো, খাদ্য সামগ্রী এই কুঠরীর মধ্যে আন; আমি তোমার হাতে ভোজন করবো। তাতে তামর তার তৈরি ঐ পিঠা নিয়ে কুঠরীর মধ্যে তার ভাই অম্নোনের কাছে গেল।
11. পরে সে তাকে ভোজন করাতে তার কাছে তা আনলে অম্নোন তাকে ধরে বললো, হে আমার বোন, এসো, আমার সঙ্গে শয়ন কর।
12. সে জবাবে বললো, হে আমার ভাই, না, না আমার ইজ্জত নষ্ট করো না, ইসরাইলের মধ্যে এমন কাজ করা উচিত নয়; তুমি এই মূঢ়তার কাজ করো না।
13. আমি কোথায় আমার কলঙ্ক বহন করবো? আর তুমিও ইসরাইলের মধ্যে এক জন মূঢ়ের সমান হবে। অতএব আরজ করি, বরং বাদশাহ্র কাছে বল, তিনি তোমার হাতে আমাকে দিতে অসম্মত হবেন না।
14. কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না; নিজে তামরের চেয়ে বলবান হওয়াতে তার ইজ্জত নষ্ট করলো, তার সঙ্গে শয়ন করলো।
15. পরে অম্নোন তাকে ভীষণ ঘৃণা করতে লাগল; বস্তুত সে তাকে যেরকম মহব্বত করেছিল, তার চেয়ে বেশি ঘৃণা করতে লাগল; আর অম্নোন তাকে বললো, ওঠ, চলে যাও।
16. সে তাকে বললো, তা করো না, কেননা আমার সঙ্গে কৃত তোমার প্রথম দোষের চেয়ে আমাকে বের করে দেওয়া, এই মহাদোষ আরও মন্দ। কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না।
17. সে তার পরিচারক যুবককে ডেকে বললো, একে আমার কাছ থেকে বের করে দাও, পরে দরজায় খিল লাগিয়ে দাও।
18. সেই কন্যার গায়ে লম্বা কাপড় ছিল, কেননা কুমারী রাজকন্যারা ঐ রকম কাপড় পরতো। অম্নোনের পরিচারক তাকে বের করে দিয়ে পরে দ্বারে খিল লাগিয়ে দিল।
19. তখন তামর নিজের মাথায় ভস্ম দিল এবং তার গায়ের ঐ লম্বা কাপড় ছিঁড়ে মাথায় হাত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
20. আর তার সহোদর অবশালোম তাকে জিজ্ঞাসা করলো, তোমার ভাই অম্নোন কি তোমার ইজ্জত নষ্ট করেছে? কিন্তু এখন হে আমার বোন চুপ থাক, সে তোমার ভাই; তুমি এই বিষয়ে বিমনা হয়ো না। সেদিন থেকে তামর বিষণ্নভাবে তার ভাই অবশালোমের বাড়িতে থাকতে লাগল।
21. কিন্তু বাদশাহ্ দাউদ এসব কথা শুনে অতিশয় ক্রুদ্ধ হলেন।