16. পরে নগর অবরোধ করার সময় কোন্ স্থানে বিক্রমশালী লোক আছে তা জেনে যোয়াব সেই স্থানে ঊরিয়কে নিযুক্ত করলেন।
17. পরে নগরস্থ লোকেরা বের হয়ে যোয়াবের সঙ্গে যুদ্ধ করলে কয়েক জন লোক, দাউদের গোলামদের মধ্যে কয়েক জন মারা পড়লো, বিশেষত হিট্টিয় ঊরিয়ও মারা পড়লো।
18. পরে যোয়াব লোক পাঠিয়ে যুদ্ধের সমস্ত বৃত্তান্ত দাউদকে জানালেন,
19. আর দূতকে হুকুম করলেন, তুমি বাদশাহ্র সাক্ষাতে যুদ্ধের সমস্ত বৃত্তান্ত সমাপ্ত করলে,
20. যদি বাদশাহ্র ক্রোধ জন্মে, আর যদি তিনি বলেন, তোমরা যুদ্ধ করতে নগরের এত কাছে কেন গিয়েছিলে? তারা প্রাচীর থেকে তীর মারবে, এটা কি জানতে না?
21. যিরূব্বেশতের পুত্র আবিমালেককে কে আঘাত করেছিল? তেবেষে একটা স্ত্রীলোক যাঁতার একখানা উপরের পাট প্রাচীর থেকে তার উপরে ফেলে দিলে সে কি তাতেই মারা পরে নি? তোমরা কেন প্রাচীরের এত কাছে গিয়েছিলে? তা হলে তুমি বলবে, আপনার গোলাম হিট্টিয় ঊরিয়ও মারা পড়েছে।
22. পরে সেই দূত প্রস্থান করে যোয়াবের বলা সমস্ত কথা দাউদকে জানালো।
23. দূত দাউদকে বললো, সেই লোকেরা আমাদের বিপক্ষে প্রবল হয়ে মাঠে আমাদের কাছে বাইরে এসেছিল; তখন আমরা দ্বারের প্রবেশ-স্থান পর্যন্ত তাদের পেছন পেছন তাড়া করেছিলাম।
24. তখন তীরন্দাজেরা প্রাচীর থেকে আপনার গোলামদের উপরে তীর নিক্ষেপ করলো; তাই বাদশাহ্র কয়েক জন গোলাম মারা পড়েছে; আর আপনার গোলাম হিট্টিয় ঊরিয়ও মারা গেছে।
25. তখন দাউদ দূতকে বললেন, যোয়াবকে এই কথা বলো, তুমি এতে অসন্তুষ্ট হয়ো না, কেননা তলোয়ার যেমন এক জনকে তেমনি আর এক জনকেও গ্রাস করে; তুমি নগরের বিরুদ্ধে আরও সপরাক্রমে যুদ্ধ কর, নগর উচ্ছিন্ন কর; এভাবে তাকে আশ্বাস দেবে।
26. আর ঊরিয়ের স্ত্রী তাঁর স্বামী ঊরিয়ের মৃত্যু-সংবাদ পেয়ে স্বামীর জন্য শোক করতে লাগল।
27. পরে শোক করার সময় অতীত হলে দাউদ লোক পাঠিয়ে তাকে তাঁর বাড়িতে আনালেন, তাতে সে তাঁর স্ত্রী হল ও তাঁর জন্য পুত্র প্রসব করলো। কিন্তু দাউদের কৃত এই কাজ মাবুদের দৃষ্টিতে মন্দ বলে গণ্য হল।