17. তিনি বত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করে জেরুশালেমে আট বছর রাজত্ব করেন।
18. আহাবের কুল যেমন করতো, তিনিও তেমনি ইসরাইলের বাদশাহ্দের পথে চলতেন, কারণ তিনি আহাবের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন; ফলে মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা-ই তিনি করতেন।
19. তবুও তাঁর গোলাম দাউদের জন্য মাবুদ এহুদাকে বিনষ্ট করতে চাইলেন না, তিনি তো দাউদের কাছে ওয়াদা করেছিলেন, যে, তাঁকে তাঁর সন্তানদের জন্য নিয়ত একটি প্রদীপ দেবেন।
20. তাঁর সময়ে ইদোম এহুদার অধীনতা অস্বীকার করে তাদের নিজেদের জন্য এক জনকে বাদশাহ্ করলো।
21. অতএব যোরাম তাঁর সমস্ত রথ সঙ্গে নিয়ে সায়ীরে যাত্রা করলেন; আর রাতের বেলায় তিনি উঠে, যারা তাঁকে বেষ্টন করেছিল, সেই ইদোমীয়দের ও তাদের রথের নেতাদেরকে আঘাত করলেন, আর সেই লোকেরা যার যার তাঁবুতে পালিয়ে গেল।
22. এভাবে ইদোম আজ পর্যন্ত এহুদার অধীনতা অস্বীকার করে রয়েছে। আর ঐ সময়ে লিব্নাও অধীনতা অস্বীকার করলো।
23. যোরামের অবশিষ্ট কাজের বৃত্তান্ত ও সমস্ত কাজের বিবরণ কি এহুদা-বাদশাহ্দের ইতিহাস-পুস্তকে লেখা নেই?
24. পরে যোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন এবং দাউদ নগরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সমাধিস্থ হলেন; আর তাঁর পুত্র অহসিয় তাঁর পদে বাদশাহ্ হলেন।
25. ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাবের পুত্র যোরামের বারো বছরের রাজত্বের সময় এহুদার বাদশাহ্ যিহোরামের পুত্র অহসিয় রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন।
26. অহসিয় বাইশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করে জেরুশালেমে এক বছর রাজত্ব করেন। তাঁর মায়ের নাম অথলিয়া, তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্ অম্রির পৌত্রী।
27. অহসিয় আহাব কুলের পথে চলতেন, মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, আহাব কুলের মত তা-ই করতেন, কেননা তিনি আহাব কুলের জামাতা ছিলেন।
28. তিনি আহাবের পুত্র যোরামের সঙ্গে অরামের বাদশাহ্ হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য রামোৎ-গিলিয়দে গেলেন; তাতে অরামীয়েরা যোরামকে ক্ষতবিক্ষত করলো।
29. অতএব বাদশাহ্ যোরাম অরামের বাদশাহ্ হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময়ে রামাতে অরামীয়েরা তাঁকে যেভাবে আক্রমণ করেছিল তা থেকে সুস্থ হবার জন্য যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন; আর আহাবের পুত্র যোরামের অসুস্থতার দরুন এহুদার বাদশাহ্ যিহোরামের পুত্র অহসিয় তাঁকে দেখতে যিষ্রিয়েলে গেলেন।