1. আল-ইয়াসা যে স্ত্রীলোকটির পুত্রকে মৃত্যু থেকে জীবিতি করে তুলেছিলেন, তাকে বলেছিলেন, তুমি পরিবারের সঙ্গে যে স্থানে প্রবাস করতে পার, সেই স্থানে গিয়ে প্রবাস কর; কেননা মাবুদ দুর্ভিক্ষ ডেকেছেন, আর তা এসে সাত বছর পর্যন্ত এই দেশে থাকবে।
2. তাতে সেই স্ত্রীলোকটি আল্লাহ্র লোকের কালাম অনুসারে কাজ করলেন; তিনি ও তার পরিবার গিয়ে সাত বছর ফিলিস্তিনীদের দেশে প্রবাস করলেন।
3. সাত বছরের শেষে সেই স্ত্রীলোকটি ফিলিস্তিনীদের দেশ থেকে ফিরে আসলেন, আর তার বাড়ি ও ভূমির জন্য বাদশাহ্র কাছে নিবেদন করতে গেলেন।
4. ঐ সময়ে বাদশাহ্ আল্লাহ্র লোকের ভৃত্য গেহসির সঙ্গে কথা বলছিলেন; তিনি বললেন, আল-ইয়াসা যেসব মহৎ কাজ করেছেন, সেই সমস্তের বৃত্তান্ত আমাকে বল।
5. তাতে আল-ইয়াসা কিভাবে মৃতকে আবার জীবিত করেছিলেন, তার বিবরণ সে বাদশাহ্কে বলছে, আর দেখ, যার পুত্রকে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন, সেই স্ত্রীলোকটি তার বাড়ি ও ভূমির জন্য বাদশাহ্র কাছে এসে নিবেদন করতে লাগলেন। তখন গেহসি বললো, হে আমার মালিক বাদশাহ্, এই সেই স্ত্রীলোক এবং এই তার পুত্র, যাকে আল-ইয়াসা পুনর্জীবিত করেছিলেন।
6. আর বাদশাহ্ স্ত্রীলোকটিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে সকল বৃত্তান্ত বললেন। আর বাদশাহ্ তাঁর পক্ষে এক জন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করে বললেন, এর সর্বস্ব এবং এ যেদিন দেশ ত্যাগ করেছে, সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত উৎপন্ন এর ক্ষেতের সমস্ত আয় একে ফিরিয়ে দাও।
7. একদিন আল-ইয়াসা দামেস্কে উপস্থিত হন। তখন অরামের বাদশাহ্ বিন্হদদ অসুস্থ ছিলেন; তিনি সংবাদ পেলেন যে, আল্লাহ্র লোক এই স্থান পর্যন্ত এসেছেন।
8. তখন বাদশাহ্ হসায়েলকে বললেন, তুমি উপহার সঙ্গে নিয়ে আল্লাহ্র লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাও এবং তাঁর দ্বারা মাবুদকে জিজ্ঞাসা কর, এই অসুস্থতা থেকে আমি কি বাঁচবো?
9. পরে হসায়েল আল-ইয়াসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। তিনি উপহার সঙ্গে নিয়ে, এমন কি, সমস্ত রকম উত্তম বস্তু চল্লিশটি উটের পিঠে বোঝাই করে দামেস্কে এসে তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বললেন, আপনার পুত্র অরামের বাদশাহ্ বিন্হদদ আপনার কাছে আমাকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন, এই অসুস্থতা থেকে আমি কি বাঁচবো?