26. একদিন ইসরাইলের বাদশাহ্ প্রাচীরের উপরে বেড়াচ্ছিলেন এমন সময়ে একটি স্ত্রীলোক তাঁর কাছে কেঁদে বললো, হে আমার মালিক বাদশাহ্, রক্ষা করুন।
27. বাদশাহ্ বললেন, যদি মাবুদ তোমাকে রক্ষা না করেন, আমি কোথা থেকে তোমাকে রক্ষা করবো? কি খামার থেকে? না আঙ্গুরপেষণকুণ্ড থেকে?
28. বাদশাহ্ আরও বললেন, তোমার কি হয়েছে? সে জবাবে বললো, এই স্ত্রীলোকটি আমাকে বলেছিল, তোমার ছেলেটিকে দাও, আজ আমরা তাকে খাই, আগামীকাল, আমার ছেলেটিকে খাব।
29. তখন আমরা আমার ছেলেটিকে রান্না করে খেলাম। পরদিন আমি একে বললাম, তোমার ছেলেটিকে দাও, আমরা খাই; কিন্তু সে তার ছেলেটিকে লুকিয়ে রেখেছে।
30. স্ত্রীলোটির এই কথা শুনে বাদশাহ্ তাঁর কাপড় ছিঁড়লেন; তখন তিনি প্রাচীরের উপরে বেড়াচ্ছিলেন; তাতে লোকেরা চেয়ে দেখলো, আর দেখ পোশাকের নিচে তাঁর শরীরে চট বাঁধা।
31. পরে তিনি বললেন, আজ যদি শাফটের পুত্র আল-ইয়াসার মাথা তার কাঁধে থাকে, তবে আল্লাহ্ আমাকে অমুক ও তার চেয়েও বেশি দণ্ড দিন।
32. তখন আল-ইয়াসা তাঁর বাড়িতে বসেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে প্রাচীনবর্গরা বসেছিলেন; ইতোমধ্যে বাদশাহ্ তাঁর সম্মুখে থেকে এক জন লোক পাঠালেন। কিন্তু সেই দূতের আসার আগে আল-ইয়াসা প্রাচীন নেতৃবর্গকে বললেন, সেই নরঘাতকের পুত্র আমার মাথা কেটে ফেলবার জন্য লোক পাঠিয়েছে, তোমরা কি দেখছ? দেখ, সেই দূত আসলে দরজা বন্ধ করো এবং দ্বারসুদ্ধ তাকে ঠেলে দিও; তার পিছনে কি তার মালিকের পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে না?
33. তিনি তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন এমন সময়ে দূত তাঁর কাছে পৌঁছাল। পরে বাদশাহ্ বললেন, দেখ, এই অমঙ্গল মাবুদ থেকে হল, তবে আমি কেন আর মাবুদের অপেক্ষাতে থাকব।