35. পরে তিনি উঠে বাড়ির মধ্যে পায়চারি করতে লাগলেন, আবার উঠে তার উপরে লম্বমান হলেন; তাতে বালকটি সাত বার হাঁচি দিল ও বালকটি চোখ মেলে তাকাল।
36. তখন তিনি গেহসিকে ডেকে বললেন, ঐ শূনেমীয়াকে ডাক। সে তাঁকে ডাকলে স্ত্রীলোকটি তাঁর কাছে আসলেন। আল-ইয়াসা বললেন, আপনার পুত্রকে তুলে নিন।
37. তখন সেই স্ত্রীলোক কাছে গিয়ে তাঁর পদতলে পড়ে ভূমিতে উবুড় হয়ে সালাম করলেন এবং তাঁর পুত্রকে তুলে নিয়ে বাইরে গেলেন।
38. আল-ইয়াসা আবার গিল্গলে উপস্থিত হলেন; সেই সময়ে দেশে দুর্ভিক্ষ ছিল। তখন সাহাবী-নবীরা তাঁর সম্মুখে বসেছিলেন; তিনি তাঁর ভৃত্যকে হুকুম দিলেন, বড় হাঁড়ি চড়িয়ে এই সাহাবী নবীদের জন্য ব্যঞ্জন রান্না কর।
39. তখন তাদের এক জন তরকারি সংগ্রহ করতে মাঠে গেল এবং বনশসার লতা দেখতে পেয়ে তার বন্য ফলে কোঁচড় পূর্ণ করে নিয়ে আসল, পরে তা কুটে রান্নার হাঁড়িতে দিল; কিন্তু সেগুলো কি তা তারা জানলো না।
40. পরে লোকদের ভোজন করার জন্য তা ঢাললে তারা সেই তরকারী খেতে গিয়ে চিৎকার করে বললো, হে আল্লাহ্র লোক, হাঁড়ির মধ্যে মৃত্যু; আর তারা তা খেতে পারল না।
41. তখন তিনি বললেন, তবে কিছু ময়দা আন। পরে তিনি হাঁড়িতে তা ফেলে বললেন, লোকদের জন্য ঢেলে দাও, তারা ভোজন করুক। তাতে হাঁড়িতে কিছুই মন্দ থাকলো না।
42. আর বাল্-শালিশা থেকে এক ব্যক্তি এল, সে আল্লাহ্র লোকের কাছে আশুপক্ক শস্যের রুটি, যবের কুড়িখানা রুটি ও ছালায় করে শস্যের তাজা শীষ আনলো; আর তিনি বললেন, এগুলো লোকদেরকে দাও, তারা ভোজন করুক।
43. তখন তাঁর পরিচারক বললো, আমি কি একশত লোককে তা পরিবেশন করবো? কিন্তু তিনি বললেন, তা-ই লোকদেরকে দাও তারা ভোজন করুক; কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, তারা ভোজন করবে ও উদ্বৃত্ত রাখবে।
44. অতএব সে তাদের সম্মুখে তা খেতে দিল, আর মাবুদের কালাম অনুসারে তারা ভোজন করলো, আর উদ্বৃত্তও রাখল।