22. আর তাঁর স্বামীকে ডেকে বললেন, আরজ করি, তুমি ভৃত্যদের এক জনকে ও একটি গাধী আমার কাছে পাঠিয়ে দাও, আমি আল্লাহ্র লোকের কাছে শীঘ্র গিয়ে ফিরে আসবো।
23. তিনি বললেন, আজ তাঁর কাছে কেন যাবে? আজ অমাবস্যাও নয়, বিশ্রামবারও নয়। স্ত্রীলোকটি বললেন, মঙ্গল হবে।
24. আর তিনি গাধী সাজিয়ে তাঁর ভৃত্যকে বললেন, গাধীটিকে দ্রুত চালাও, হুকুম না পেলে আমার গতি শিথিল করো না।
25. পরে তিনি কর্মিল পর্বতে আল্লাহ্র লোকের কাছে চললেন। তখন আল্লাহ্র লোক তাঁকে দূর থেকে দেখে তাঁর ভৃত্য গেহসিকে বললেন, দেখ, ঐ সেই শূনেমীয়া;
26. একবার দৌড়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ কর, আর জিজ্ঞাসা কর, আপনার মঙ্গল? আপনার স্বামীর মঙ্গল? বালকটির মঙ্গল? তিনি উত্তর করলেন, মঙ্গল।
27. পরে পর্বতে আল্লাহ্র লোকের কাছে উপস্থিত হয়ে তিনি তাঁর পা জড়িয়ে ধরলেন; তাতে গেহসি তাঁকে ঠেলে দেবার জন্য কাছে এল, কিন্তু আল্লাহ্র লোক বললেন, ওঁকে থাকতে দাও, তাঁর প্রাণ শোকাকুল হয়েছে, আর মাবুদ আমা থেকে তা গোপন করেছেন, আমাকে জানান নি।
28. তখন স্ত্রীলোকটি বললেন, আমার মালিকের কাছে আমি কি পুত্র চেয়েছিলাম? আমাকে প্রতারণা করবেন না, এই কথা কি বলি নি?
29. তখন আল-ইয়াসা গেহসিকে বললেন, কোমরবন্ধনী পর, আমার এই লাঠি হাতে নিয়ে প্রস্থান কর; কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম জানাবে না এবং কেউ সালাম জানালে তাকে উত্তর দিও না; পরে বালকটির মুখের উপরে আমার এই লাঠি রেখো।
30. তখন বালকের মা বললেন, জীবন্ত মাবুদের কসম এবং আপনার জীবিত প্রাণের কসম, আমি আপনাকে ছাড়ব না। তখন আল-ইয়াসা উঠে তাঁর পেছন পেছন চললেন।