11. কিন্তু যিহোশাফট বললেন, মাবুদের কোন নবী কি এখানে নেই যে, তাঁর দ্বারা আমরা মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারি? ইসরাইলের বাদশাহ্র গোলামদের মধ্যে এক জন জবাবে বললো, শাফটের পুত্র যে আল-ইয়াসা ইলিয়াসের হাতে পানি ঢালতেন, তিনি এখানে আছেন।
12. যিহোশাফট বললেন, মাবুদের কালাম তাঁর কাছে আছে। পরে ইসরাইলের বাদশাহ্ ও যিহোশাফট এবং ইদোমের বাদশাহ্ তাঁর কাছে নেমে গেলেন।
13. তখন আল-ইয়াসা ইসরাইলের বাদশাহ্কে বললেন, আপনার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ কি? আপনি আপনার পিতার নবীদের ও আপনার মাতার নবীদের কাছ যান। ইসরাইলের বাদশাহ্ বললেন, তা নয়, কেননা মোয়াবের হাতে তুলে দেবার জন্য মাবুদ এই তিন বাদশাহ্কে একসঙ্গে ডেকে এনেছেন।
14. আল-ইয়াসা বললেন, আমি যাঁর সাক্ষাতে দণ্ডায়মান, সেই বাহিনীগণের জীবন্ত মাবুদের কসম, যদি এহুদার বাদশাহ্ যিহোশাফটের মুখের দিকে না চাইতাম, তবে আপনার প্রতি দৃষ্টিপাত করতাম না, আপনাকে দেখতামও না।
15. যা হোক, এখন আমার কাছে এক জন বীণাবাদককে আনা হোক। পরে বাদক বীণা বাজালে মাবুদের হাত আল-ইয়াসার উপরে উপস্থিত হল।
16. আর তিনি বললেন, মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা এই উপত্যকা খাতময় কর।
17. কেননা মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা বায়ু দেখবে না ও বৃষ্টি দেখবে না, তবুও এই উপত্যকা পানিতে পরিপূর্ণ হবে; তাতে তোমরা, তোমাদের সমস্ত পশু ও সমস্ত বাহন পান করবে।
18. আর মাবুদের দৃষ্টিতে এটি অতি ক্ষুদ্র বিষয়, তিনি মোয়াবকেও তোমাদের হাতে তুলে দেবেন।
19. তখন তোমরা প্রত্যেক প্রাচীরবেষ্টিত নগরে ও প্রত্যেক উত্তম নগরে আঘাত করবে, আর প্রত্যেক উত্তম গাছ কেটে ফেলবে ও পানির সমস্ত ফোয়ারা বন্ধ করে দেবে এবং উর্বর ক্ষেতগুলো পাথর দ্বারা বিনষ্ট করবে।
20. পরে খুব ভোরে নৈবেদ্য কোরবানী করার সময়ে দেখ, ইদোমের পথ দিয়ে পানি এসে দেশ পরিপূর্ণ করলো।
21. সমস্ত মোয়াববাসী যখন শুনতে পেল যে, বাদশাহ্রা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছেন, তখন যারা যুদ্ধের সাজ-পোশাক পরতে পারতো তাদের ডাকা হলে পর, তারা সকলে এবং তার চেয়েও বেশি বয়সের লোক একত্র হয়ে সীমাতে দাঁড়িয়ে রইলো।