12. আর এহুদার বাদশাহ্রা আহসের উপরিস্থ কুঠরীর ছাদে যেসব কোরবানগাহ্ তৈরি করেছিলেন এবং মানশা মাবুদের গৃহের দুই প্রাঙ্গণে যে যে কোরবানগাহ্ করেছিলেন, বাদশাহ্ সেসব কোরবানগাহ্ ভেঙ্গে ফেললেন, সেই স্থান থেকে শীঘ্র চলে গেলেন এবং তাদের ধূলি কিদ্রোণ স্রোতে নিক্ষেপ করলেন।
13. আর বিনাশ-পর্বতের দক্ষিণে জেরুশালেমের সম্মুখে ইসরাইলের বাদশাহ্ সোলায়মান সীদোনীয়দের ঘৃণ্য দেবী অষ্টোরতের জন্য এবং মোয়াবের ঘৃণ্য দেবতা কমোশের জন্য এবং অম্মোনের ঘৃণ্য দেবতা মিল্কমের জন্য যেসব উচ্চস্থলী করেছিলেন, সেসব বাদশাহ্ নাপাক করলেন।
14. আর তিনি সমস্ত স্তম্ভ ভেঙ্গে ফেললেন ও সমস্ত আশেরা-মূর্তি কেটে ফেলে তাদের স্থান মানুষের অস্থিতে পরিপূর্ণ করলেন।
15. এছাড়া, বেথেলে যে কোরবানগাহ্ ছিল এবং নবাটের পুত্র ইয়ারাবিম, যিনি ইসরাইলকে গুনাহ্ করিয়েছিলেন, তিনি যে উচ্চস্থলী নির্মাণ করেন, ইউসিয়া সেই কোরবানগাহ্ ও সেই উচ্চস্থলীও ভেঙ্গে ফেললেন, আর সেই উচ্চস্থলী আগুনে পুড়িয়ে দিলেন ও পিষে গুঁড়া করলেন এবং আশেরা পুড়িয়ে দিলেন।
16. আর ইউসিয়া মুখ ফিরিয়ে সেখানকার পর্বতস্থ সমস্ত কবর দেখলেন এবং লোক পাঠিয়ে সেসব কবর থেকে অস্থি আনালেন এবং আল্লাহ্র যে লোক আগে এসব ঘটনার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর বলা মাবুদের কালাম অনুসারে সেই কোরবানগাহ্র উপরে সেসব অস্থি পুড়িয়ে কোরবানগাহ্ নাপাক করলেন।
17. পরে তিনি বললেন, আমি ওটা কোন স্তম্ভ দেখছি? নগরের লোকেরা তাঁকে বললো, আল্লাহ্র যে লোক এহুদা থেকে এসে বৈথেলস্থ কোরবানগাহ্র বিরুদ্ধে তার করা এসব কাজের কথা ঘোষণা করেছিলেন ওটা তাঁরই কবর।
18. বাদশাহ্ বললেন, তাঁকে থাকতে দাও; তাঁর অস্থি কেউ স্থানান্তর না করুক; অতএব তারা তাঁর অস্থি এবং সামেরিয়া থেকে আগত নবীর অস্থি রক্ষা করলো।
19. আর ইসরাইলের বাদশাহ্রা সামেরিয়ার নানা নগরে যেসব উচ্চস্থলীতে মন্দির নির্মাণ করে মাবুদকে অসন্তুষ্ট করেছিলেন, সেসব ইউসিয়া দূর করলেন এবং বেথেলে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন, সেই অনুসারে সেই সবের প্রতিও করলেন।
20. আর সেখানকার উচ্চস্থলীগুলোর সমস্ত ইমামকে কোরবানগাহে জবেহ্ করলেন এবং তার উপরে মানুষের অস্থি পুড়িয়ে দিলেন, পরে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।
21. পরে বাদশাহ্ সমস্ত লোককে এই হুকুম করলেন, এই নিয়ম-কিতাবে যেমন লেখা আছে, সেই অনুসারে তোমরা তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে ঈদুল ফেসাখ পালন কর।
22. বাস্তবিক ইসরাইলের বিচারকারী বিচারকর্তাদের সময় থেকে ইসরাইলের বাদশাহ্ ও এহুদা-বাদশাহ্দের আমলে এরকম ঈদুল ফেসাখ পালন করা হয় নি;
23. কিন্তু ইউসিয়া বাদশাহ্র অষ্টাদশ বছরে জেরুশালেমে মাবুদের উদ্দেশে এই ঈদুল ফেসাখ পালন করা হল।
24. আর ইউসিয়া যেন মাবুদের গৃহে হিল্কিয় ইমামের পাওয়া কিতাবে লেখা শরীয়তের সমস্ত কালাম অটল রাখতে পারেন, সেজন্য তিনি এহুদা দেশে ও জেরুশালেমে যেসব ভুতড়িয়া, গুনিন, ঠাকুর, মূর্তি ও ঘৃণার বস্তু দেখতে পেলেন, সেসব দূর করলেন।
25. তাঁর মত সমস্ত অন্তঃকরণ, সমস্ত প্রাণ ও সমস্ত শক্তি দ্বারা মূসার সমস্ত শরীয়ত অনুসারে মাবুদের প্রতি ফিরলেন, এমন কোন বাদশাহ্ তাঁর আগে ছিলেন না এবং তাঁর পরেও তাঁর মত কেউ নেই।
26. তবুও মানশা যেসব অসন্তোষজনক কাজ দ্বারা মাবুদকে অসন্তুষ্ট করেছিলেন, তার দরুন এহুদার বিরুদ্ধে মাবুদের যে প্রচণ্ড ক্রোধ প্রজ্বলিত হয়েছিল, সেই ক্রোধ থেকে তিনি ফিরলেন না।