7. তখন সাহাবী-নবীদের মধ্যে পঞ্চাশ জন লোক গিয়ে দূরে তাঁদের সম্মুখে দাঁড়ালেন, আর জর্ডানের ধারে ঐ দু’জন দাঁড়ালেন।
8. পরে ইলিয়াস তাঁর শাল ধরে গুটিয়ে নিয়ে পানিতে আঘাত করলেন, তাতে পানি এদিকে ওদিকে বিভক্ত হল এবং তাঁরা দু’জন শুকনো ভূমি দিয়ে পার হলেন।
9. পার হওয়ার পর ইলিয়াস আল-ইয়াসাকে বললেন, তোমার জন্য আমি কি করবো? তা তোমার কাছ থেকে আমাকে নিয়ে যাবার আগে যাচ্ঞা কর। ইলিশায় বললেন, আরজ করি, আপনার রূহের দুই অংশ আমার উপর অধিষ্ঠিত হোক।
10. তিনি বললেন, কঠিন বর যাচ্ঞা করলে; যদি তোমার কাছ থেকে নিয়ে যাবার সময়ে আমাকে দেখতে পাও, তবে তোমার প্রতি তা ঘটবে; কিন্তু না দেখলে ঘটবে না।
11. পরে এরকম ঘটলো; তাঁরা যেতে যেতে কথা বলছেন, ইতোমধ্যে দেখ, আগুনের একটি রথ ও আগুনের ঘোড়াগুলো এসে তাঁদেরকে পৃথক করলো এবং ইলিয়াস ঘূর্ণি-বাতাসে বেহেশতে উঠে গেলেন।
12. আর আল-ইয়াসা তা দেখলেন এবং উচ্চৈঃস্বরে বললেন, হে আমার পিতা, হে আমার পিতা, হে ইসরাইলের রথগুলো ও তার ঘোড়-সওয়ারগণ! পরে তিনি তাঁকে আর দেখতে পেলেন না; তখন তাঁর কাপড় ধরে ছিঁড়ে দু’ভাগ করলেন।
13. আর তিনি ইলিয়াসের শরীর থেকে পড়ে যাওয়া শালখানি তুলে নিলেন এবং ফিরে গিয়ে জর্ডানের ধারে দাঁড়ালেন।
14. পরে তিনি ইলিয়াসের শরীর থেকে পড়ে যাওয়া সেই শালখানি নিয়ে পানিতে আঘাত করে বললেন, ইলিয়াসের আল্লাহ্ মাবুদ কোথায়? আর তিনিও পানিতে আঘাত করলে পানি এদিকে ওদিকে বিভক্ত হল এবং আল-ইয়াসা পার হয়ে গেলেন।
15. তখন জেরিকোর সাহাবী-নবীরা সম্মুখে থাকায় তা দেখে বললেন, ইলিয়াসের রূহ্ আল-ইয়াসার উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। পরে তারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁর সম্মুখে ভূমিতে উবুড় হয়ে সালাম করলেন।
16. আর তাঁকে বললেন, দেখুন, আপনার গোলামদের এখানে পঞ্চাশ জন বলবান লোক আছে; আরজ করি, তারা আপনার প্রভুর সন্ধানে যাক; কে জানে, মাবুদের রূহ্ তাঁকে উঠিয়ে কোন পর্বতে কিংবা কোন উপত্যকাতে ফেলে গেছেন। তিনি বললেন, পাঠিও না।
17. তবুও তারা তাঁকে পীড়াপীড়ি করলে তিনি লজ্জিত হয়ে বললেন, পাঠিয়ে দাও। অতএব তারা পঞ্চাশ জন লোক পাঠিয়ে দিল; ওরা তিন দিন পর্যন্ত তাঁর সন্ধান করলো, কিন্তু তাঁকে পেল না।