6. ইশাইয়া তাঁদের বললেন, তোমাদের মালিককে এই কথা বল, মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি যা শুনেছ ও যা বলে আসেরিয়ার বাদশাহ্র গোলামেরা আমার নিন্দা করেছে, সেই সমস্ত কথায় ভয় পেয়ো না।
7. দেখ, আমি তার মধ্যে একটি রূহ্ দেব এবং সে কোন সংবাদ শুনবে, শুনে তাঁর দেশে ফিরে যাবে, পরে আমি তারই দেশে তাকে তলোয়ার দ্বারা নিপাত করবো।
8. পরে রব্শাকি ফিরে গেলেন, গিয়ে দেখতে পেলেন যে, আসেরিয়ার বাদশাহ্ লিব্নার বিপক্ষে যুদ্ধ করছেন; বস্তুত তিনি লাখীশ থেকে প্রস্থান করেছেন, এই কথা রব্শাকি শুনেছিলেন।
9. পরে তিনি ইথিওপিয়ার বাদশাহ্ তির্হকঃ-এর বিষয়ে এই সংবাদ শুনলেন, দেখুন, তিনি আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বের হয়ে এসেছেন। তখন তিনি পুনর্বার হিষ্কিয়ের কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন,
10. তোমরা এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়কে এই কথা বলবে, তোমার বিশ্বাস-ভূমি আল্লাহ্ এই কথা বলে তোমার ভ্রান্তি যেন না জন্মান যে, জেরুশালেম আসেরিয়ার বাদশাহ্র হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
11. দেখ, সমুদয় দেশ নিঃশেষে বিনষ্ট করে আসেরিয়ার বাদশাহ্রা সমস্ত দেশের প্রতি যা যা করেছেন, তা তুমি শুনেছ; তবে তুমি কি উদ্ধার পাবে?
12. আমার পূর্বপুরুষেরা যেসব জাতিকে বিনষ্ট করেছেন— গোষণ, হারণ, রেৎসফ এবং তলঃসর-নিবাসী আদন-সন্তানেরা— তাদের দেবতারা কি তাদেরকে উদ্ধার করেছে?
13. হমাতের বাদশাহ্, অর্পদের বাদশাহ্ এবং সফর্বয়িম নগরের, হেনার ও ইব্বার বাদশাহ্ কোথায়?
14. হিষ্কিয় দূতদের হাত থেকে পত্রখানি নিয়ে পাঠ করলেন; পরে হিষ্কিয় মাবুদের গৃহে গেলেন এবং মাবুদের সম্মুখে তা মেলে ধরলেন।
15. আর হিষ্কিয় মাবুদের সম্মুখে মুনাজাত করে বললেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, কারুবীদ্বয়ে আসীন, তুমি, কেবলমাত্র তুমিই দুনিয়ার সমস্ত রাজ্যের আল্লাহ্; তুমিই আসমান ও দুনিয়া নির্মাণ করেছ।
16. হে মাবুদ, কান দাও, শোন; হে মাবুদ, চোখ খুলে করে দেখ; জীবন্ত আল্লাহ্কে টিট্কারি দেবার জন্য সন্হেরীব যেসব কথা বলে পাঠিয়েছে, তা শুন।
17. সত্যি বটে, হে মাবুদ, আসেরিয়া বাদশাহ্রা জাতিদেরকে ও তাদের দেশগুলো বিনষ্ট করেছে,