9. প্রভু নিজের ওয়াদা পালনে বিলম্ব করেন না, যেমন কেউ কেউ মনে করেন তিনি বিলম্ব করেন— কিন্তু তোমাদের পক্ষে তিনি দীর্ঘসহিষ্ণু; কেউ যে বিনষ্ট হয়, তা তিনি চান না, বরং তিনি চান যেন সকলে মন পরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
10. কিন্তু প্রভুর দিন চোরের মত আসবে; তখন আসমান হূহূ আওয়াজ করে উড়ে যাবে এবং মূলবস্তুগুলো পুড়ে গিয়ে বিলীন হবে এবং দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সমস্তই পুড়ে যাবে।
11. এভাবে যখন এ সবই বিলীন হবে, তখন তোমাদেরও পবিত্র আচার ব্যবহার ও ভক্তিতে কি রকম লোক হওয়া উচিত!
12. আল্লাহ্র সেই দিনের আগমনের অপেক্ষা ও আকাঙ্খা করতে করতে সেরকম হওয়া চাই, যে দিনে আসমান আগুনে জ্বলে বিলীন হবে এবং মূলবস্তুগুলো পুড়ে গলে যাবে।
13. কিন্তু তাঁর ওয়াদা অনুসারে আমরা এমন নতুন আসমানের ও নতুন দুনিয়ার অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে ধার্মিকতা বাস করে।
14. অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা যখন এই সকলের অপেক্ষা করছো, তখন যত্ন কর যেন তাঁর কাছে তোমাদেরকে নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ অবস্থায় শান্তিতে দেখতে পাওয়া যায়।
15. আর আমাদের প্রভুর ধৈর্যকে নাজাত পাবার সুযোগ বলে মনে কর; যেমন আমাদের প্রিয় ভাই পৌলও তাঁকে দেওয়া জ্ঞান অনুসারে তোমাদের লিখেছেন,
16. আর যেমন তাঁর সকল পত্রেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করে তিনি এই রকম কথা বলেন; তার মধ্যে কোন কোন কথা বোঝা কষ্টকর; অজ্ঞান ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত কিতাবের কথা, তেমনি সেই কথাগুলোরও বিরূপ অর্থ করে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।