8. কেননা সেই ধার্মিক ব্যক্তি তাদের মধ্যে বাস করার সময়, তাদের অধর্মের কাজ দেখে-শুনে প্রতিদিন তাঁর ধর্মশীল প্রাণ ভীষণ কষ্ট পেত।
9. এতে জানি, প্রভু আল্লাহ্ভক্তদেরকে পরীক্ষা থেকে উদ্ধার করতে এবং অধার্মিকদেরকে শাস্তি পাবার জন্য বিচার-দিন পর্যন্ত রাখতে জানেন।
10. বিশেষত যারা গুনাহ্-স্বভাবের বশবর্তী হয়ে গুনাহ্-স্বভাবের নাপাক অভিলাষে চলে ও প্রভুত্ব অবজ্ঞা করে, তাদেরকে শাস্তি দেবেন। এরা দুঃসাহসী, স্বেচ্ছাচারী; যারা গৌরবের পাত্র, এরা তাদের নিন্দা করতে ভয় করে না।
11. ফেরেশতারা যদিও শক্তিতে ও পরাক্রমে মহত্তর, তবুও প্রভুর কাছে তাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধে নিন্দাপূর্ণ বিচার উপস্থিত করেন না।
12. কিন্তু যে সমস্ত বুদ্ধিবিহীন জীবজন্তু স্বভাবত ধরে মেরে ফেলবার জন্যই যাদের জন্ম, এই লোকেরা তাদের মতই। তারা যা বোঝে না, তার নিন্দা করে; যেমন ঐ পশুরা বিনষ্ট হয় তারাও তেমনি বিনষ্ট হবে।
13. অন্যায়ের বেতন হিসেবে তাদের সেই অন্যায় ভোগ করতে হবে। তারা দিনের বেলা উদরতৃপ্তিকে সুখ জ্ঞান করে; তারা কলঙ্ক ও ময়লার মত, তারা তোমাদের সঙ্গে ভোজন পান করে নিজেদের ভোগ-বিলাসকেই প্রকাশ করছে।
14. তাদের চোখ জেনায় পরিপূর্ণ এবং গুনাহ্ থেকে বিরত হয় না; তারা অস্থিরমনাদেরকে প্রলোভিত করে; তাদের অন্তর অর্থলালসায় অভ্যস্ত; তারা বদদোয়ার সন্তান।