10. অতএব, হে ভাইয়েরা, তোমরা যে আহ্বান পেয়েছ ও মনোনীত, তা নিশ্চিত করে তুলবার জন্য আরও বেশি চেষ্টা কর, কেননা এসব করলে তোমরা কখনও হোঁচট খাবে না;
11. কারণ এভাবে আমাদের প্রভু ও নাজাতদাতা ঈসা মসীহের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করার অধিকার তোমাদেরকে প্রচুর দেওয়া যাবে।
12. এই কারণ আমি তোমাদেরকে সব সময় এসব স্মরণ করিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকব; যদিও তোমরা এসব জান এবং বর্তমান সত্যে সুস্থিরও আছ।
13. আর আমি যত দিন এই দেহে থাকি, ততদিন তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাগিয়ে রাখা কর্তব্য বলে মনে করি।
14. কারণ আমি জানি, আমার এই দেহ খুব শীঘ্রই আমাকে পরিত্যাগ করতে হবে, তা আমাদের প্রভু ঈসা মসীহ্ই আমাকে জানিয়েছেন।
15. আর তোমরা যাতে আমার গত হওয়ার পরে সব সময় এসব স্মরণ করতে পার, এমন যত্নও করবো।
16. কারণ আমাদের ঈসা মসীহের পরাক্রম ও আগমনের বিষয় যখন তোমাদের জানিয়েছিলাম, তখন আমরা কৌশল-কল্পিত পৌরাণিক গল্পের অনুগামী হই নি, কিন্তু তাঁর মহিমার চাক্ষুষ সাক্ষী হয়েছিলাম।
17. ফলত তিনি পিতা আল্লাহ্র কাছ থেকে সম্মান ও গৌরব পেয়েছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত মহিমা কর্তৃক তাঁর কাছে এই বাণী উপনীত হয়েছিল, “ইনিই আমার পুত্র, আমার প্রিয়তম, এতেই আমি প্রীত।”
18. আর বেহেশত থেকে উপনীত সেই বাণী আমরাই শুনেছি, যখন তাঁর সঙ্গে পবিত্র পর্বতে ছিলাম।
19. আর নবীদের কালাম আরও দৃঢ় হয়ে আমাদের কাছে রয়েছে; তোমরা যে সেই কালামের প্রতি মনোযোগ করছো, তা ভালই করছো; তা এমন প্রদীপের মত, যা যে পর্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতী তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে আলো দেয়।
20. প্রথমে এই কথা জেনো যে, পাক-কিতাবের কোন ভবিষ্যদ্বাণী বক্তার নিজের ব্যাখ্যার বিষয় নয়;
21. কারণ ভবিষ্যদ্বাণী কখনও মানুষের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নি, কিন্তু মানুষেরা পাক-রূহ্ দ্বারা চালিত হয়ে আল্লাহ্ থেকে যা পেয়েছেন, তা-ই বলেছেন।