4. তোমার চোখের পানি স্মরণ করে দিনরাত তোমাকে দেখবার আকাঙক্ষা করছি, যেন আমি আনন্দে পূর্ণ হই;
5. তোমার অন্তরস্থ কল্পনাতীত ঈমানের কথা স্মরণ করছি, যা আগে তোমার নানী লোয়ীর ও তোমার মা উনীকীর অন্তরে বাস করতো এবং আমি নিশ্চিত যে, এই ঈমান তোমার অন্তরেও বাস করছে।
6. এই কারণে তোমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, আমার হস্তার্পণ দ্বারা আল্লাহ্র যে অনুগ্রহ-দান তোমাতে আছে তা জ্বালিয়ে রাখ।
7. কেননা আল্লাহ্ আমাদেরকে ভীরুতার রূহ্ দেন নি, কিন্তু শক্তির, মহব্বতের ও সুবুদ্ধির রূহ্ দিয়েছেন।
8. অতএব আমাদের প্রভুর সম্বন্ধে সাক্ষ্যের বিষয়ে এবং তাঁর বন্দী যে আমি, আমার বিষয়ে তুমি লজ্জিত হয়ো না, কিন্তু আল্লাহ্র শক্তি অনুসারে ইঞ্জিলের জন্য আমার সঙ্গে দুঃখভোগ স্বীকার কর;
9. তিনিই আমাদেরকে নাজাত দিয়েছেন এবং পবিত্র আহ্বানে আহ্বান করেছেন। আমাদের কোন কাজের জন্য তা করেন নি, কিন্তু তাঁর নিজের সঙ্কল্প ও রহমত অনুসারে করেছেন; সেই রহমত অনাদিকালের আগে মসীহ্ ঈসাতে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল,
10. এবং এখন আমাদের নাজাতদাতা মসীহ্ ঈসার আর্বিভাবের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হল, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করেছেন এবং ইঞ্জিলের মধ্য দিয়ে জীবন ও অমরত্বকে আলোতে এনেছেন।
11. সেই ইঞ্জিলের জন্যই আমি তবলিগকারী, প্রেরিত ও শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছি।
12. এই কারণে এত দুঃখভোগও করছি; তবুও আমি লজ্জিত নই, কেননা যাঁর উপর ঈমান এনেছি, তাঁকে জানি এবং দৃঢ়ভাবে প্রত্যয় করছি যে, আমি তাঁর কাছে যা গচ্ছিত রেখেছি, তিনি সেই দিনের জন্য তা রক্ষা করতে সমর্থ।
13. তুমি আমার কাছে নিরাময় শিক্ষার যা যা শুনেছ, মসীহ্ ঈসাতে ঈমান ও মহব্বতের সঙ্গে তা আদর্শ হিসেবে ধরে রাখ।
14. তোমার কাছে যে উত্তম ধন গচ্ছিত আছে, আমাদের অন্তরে বাস করেন, সেই পাক-রূহ্ দ্বারা তা রক্ষা কর।
15. তুমি জান, এশিয়াতে যারা আছে তারা সকলে আমার কাছ থেকে সরে পড়েছে; তাদের মধ্যে ফুগিল্ল ও হর্মগিনি আছে।
16. প্রভু অনীষিফরের পরিবারকে করুণা দান করুন, কেননা তিনি বার বার আমার প্রাণ জুড়িয়েছেন এবং আমার শিকল হেতু লজ্জিত হন নি;