5. আর তিনি বাদশাহ্কে বললেন, আমি আমার দেশে থেকে আপনার কথা ও জ্ঞানের বিষয় যে কথা শুনেছিলাম তা সত্যি।
6. কিন্তু আমি যতক্ষণ এসে স্বচক্ষে না দেখলাম, ততক্ষণ লোকদের সেই কথায় আমার বিশ্বাস হয় নি; আর দেখুন, আপনার জ্ঞান ও মহত্ত্বের অর্ধেকও আমাকে বলা হয় নি; আমি যে খ্যাতি শুনেছিলাম তা থেকেও আপনার গুণ অনেক বেশি।
7. ধন্য আপনার লোকেরা এবং ধন্য আপনার এই গোলামেরা, যারা নিয়ত আপনার সম্মুখে দাঁড়িয়ে আপনার জ্ঞানের উক্তি শোনে।
8. আপনার আল্লাহ্ মাবুদ ধন্য হোন, যিনি আপনার আল্লাহ্ মাবুদের হয়ে রাজত্ব করতে তাঁর সিংহাসনে আপনাকে বসাবার জন্য আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। ইসরাইলদেরকে চিরস্থায়ী করতে চান বলে আপনার আল্লাহ্ তাদেরকে মহব্বত করেন, এজন্য ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা প্রচলিত করতে আপনাকে তাদের উপরে বাদশাহ্ করেছেন।
9. পরে তিনি বাদশাহ্কে এক শত বিশ তালন্ত সোনা ও প্রচুর সুগন্ধি দ্রব্য ও মণি উপঢৌকন দিলেন। সাবার রাণী বাদশাহ্ সোলায়মানকে যে সুগন্ধি দ্রব্য দিলেন, সেই রকম সুগন্ধি দ্রব্য আর এহুদা দেশে দেখা যায় নি।
10. আর হূরম ও সোলায়মানের যে গোলামেরা ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত, তারা চন্দন কাঠ ও মণিও নিয়ে আসত।
11. সেই চন্দন কাঠ দ্বারা বাদশাহ্ মাবুদের গৃহ ও রাজপ্রাসাদের জন্য সিঁড়ি, গায়কদের জন্য বীণা এবং নেবল প্রস্তুত করালেন। আগে এহুদা দেশে কেউ কখনও সেরকম দেখে নি।
12. আর বাদশাহ্ সোলায়মান সাবার রাণীর বাসনানুসারে তাঁর যাবতীয় বাঞ্ছিত দ্রব্য দিলেন, তা ছাড়া তিনি তাঁর কাছে তাঁর আনা দ্রব্যের প্রতিদানও দিলেন; পরে রাণী ও তাঁর গোলামেরা স্বদেশে ফিরে গেলেন।