17. আর বাদশাহ্ হাতির দাঁতের একটি বড় সিংহাসন নির্মাণ করে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিলেন।
18. ঐ সিংহাসনে ছয়টি সিঁড়ি, আর সোনার একটি পাদপীঠ সিংহাসনের সঙ্গে লাগানো ছিল এবং আসনের উভয় পাশে হাতা ছিল, সেই হাতার কাছে দুই সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল,
19. আর সেই ছয়টি সিঁড়ির উপরে দুই পাশে বারোটি সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল; এরকম সিংহাসন আর কোন রাজ্যে প্রস্তুত হয় নি।
20. বাদশাহ্ সোলায়মানের সমস্ত পানপাত্র ছিল সোনার তৈরি ও লেবাননের অরণ্যস্থ বাড়ির যাবতীয় পাত্র ছিল খাঁটি সোনার; সোলায়মানের অধিকার রূপা কিছুরই মধ্যে গণ্য ছিল না।
21. কেননা হূরমের গোলামদের সঙ্গে বাদশাহ্র কতকগুলো জাহাজ তর্শীশে যেত; সেই তর্শীশের সমস্ত জাহাজ তিন বছরান্তে এক বার সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও মযূর নিয়ে ফিরে আসত।
22. এভাবে ঐশ্বর্যে ও জ্ঞানে বাদশাহ্ সোলায়মান দুনিয়ার সকল বাদশাহ্র মধ্যে প্রধান হলেন।
23. আর আল্লাহ্ সোলায়মানের চিত্তে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাঁর সেই জ্ঞানের উক্তি শুনবার জন্য দুনিয়ার সমস্ত বাদশাহ্ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেষ্টা করতেন।
24. আর প্রত্যেকে তাদের উপঢৌকন, রূপার পাত্র, সোনার পাত্র, কাপড়-চোপড়, অস্ত্র ও সুগন্ধি দ্রব্য, ঘোড়া ও খচ্চর নিয়ে আসতেন; প্রতি বছর এরকম হত।
25. আর ঘোড়া ও রথগুলোর জন্য সোলায়মানের চার হাজার ঘর ও বারো হাজার ঘোড়সওয়ার ছিল; তিনি তাদেরকে রথ-নগরগুলোতে এবং জেরুশালেমে বাদশাহ্র কাছে রাখতেন।
26. আর তিনি ফোরাত নদী থেকে ফিলিস্তিনীদের দেশ ও মিসরের সীমা পর্যন্ত সমস্ত বাদশাহ্র উপরে রাজত্ব করতেন।
27. বাদশাহ্ জেরুশালেমে রূপাকে পাথরের মত ও এরস কাঠকে নিম্নভূমিস্থ সুকোমোর কাঠের মত প্রচুর করলেন।
28. আর লোকেরা মিসর থেকে ও সমস্ত দেশ থেকে সোলায়মানের জন্য ঘোড়া নিয়ে আসত।
29. সোলায়মানের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত আদ্যোপান্ত নাথন নবীর কিতাবে ও শীলোনীয় অহীয়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে এবং নবাটের পুত্র ইয়ারাবিমের বিষয়ে ইদ্দো দর্শকের যে দর্শন, তার মধ্যে কি লেখা নেই?